Logo
Logo
×

রাজনীতি

মহানগর কৃষকদলে ফাটল

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

মহানগর কৃষকদলে ফাটল

মহানগর কৃষকদলে ফাটল

Swapno



নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদল বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের মধ্যে একটি দুর্বল সংগঠনে পরিণত হয়েছে। কারণ মহানগর কৃষকদলের বর্তমানে নেতৃত্ব থাকা নেতারা সাংগঠনিক দক্ষতায় অজ্ঞ। তাদের সাংগঠনিক অদক্ষতায় দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মহানগর কৃষকদল। এছাড়া মনগড়া সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের কমিটি এবং ইউনিট কমিটি গঠন বিলুপ্ত সে সকল নজিরও রয়েছে।



সূত্র মতে, বহু চরাই উতরাইয়ের পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের কমিটি গঠিত হয়েছিল। কারণ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের কমিটি গঠনের পর কয়েক ঘন্টার মধ্যে স্বপন-রশু কমিটিকে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ফের এনামুল খন্দকার স্বপনকে সভাপতি এবং প্রয়াত রশিদুর রহমান রশুকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের ৯সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন কেন্দ্রীয় কৃষকদল। তবে পুরো কমিটিই খন্দকার বলয় অর্থাৎ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তৈমূর এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি খোরশেদ বলয়ের ছিল। কৃষকদলের কমিটি গঠনের কিছুদিন পরই তৈমূর তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। 


কিন্তু এর আগে বহিষ্কৃত তৈমূর বলয়ের হয়ে তার ভাগ্নে রশুকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর কৃষকদলের কমিটি করতে বেগ পোহাতে হয়েছিল। এছাড়া মহানগর কৃষকদলের কমিটিতে যাদের ঠাঁই পেয়েছিলেন অধিকাংশই মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি খোরশদের কমিটির সাবেক পদধারী শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিলেন এবং যুবদলের সাবেক দ্বারাই সদর থানা কৃষকলের কমিটিও গঠন করেছিলেন। এরমধ্যে হঠাট করেই মৃত্যুবরণ করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু। 


তখনই সাংগঠনিক ভাবে মহানগর কৃষকদলের মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়ে এবং মহানগর কৃষকদলের নিয়ন্ত্রণ ফের হারিয়ে ফেলেন খন্দকার পরিবার। রশুর মৃত্যুর পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দিন  ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের নেতারা। এরপরই ধীরে ধীরে খোলাসা হতে থাকে কৃষকদলের নেতাদের বলয় ভিত্তিক রাজনীতির অবস্থান। সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপনকে বর্তমানে জাকির খান বলয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সালকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলয়ের হয়ে কাজ করছেন।


এদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন খন্দকার বলয়ের রাজনীতি করলেও খন্দকার বলয় ত্যাগ করে জাকির খান বলয়ের হয়ে ইতিমধ্যে রাজনীতি করছেন। তাছাড়া সহ-সভাপতি জুলহাস ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদলের রাজনীতি প্রবেশ করে সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব দায়িত্ব নিয়েছেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা কৃষকদলের সভাপতি রানা মুজিবও খন্দকার বলয় ত্যাগ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজা রিপনের সাথে যোগ দিয়েছেন। 


তবে স্বপন- ফয়সালের নেতৃত্বে কৃষকদলের রাজনীতিতে গতি ফেরানোর চেষ্টায় তাদের পছন্দে মহানগর কৃষকদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন বন্দর থানা ও উপজেলা কমিটি করেছিলেন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটি মহানগরের আওতাভুক্ত করেন। কিন্তু মহানগর কৃষকদলের বলয় ভিত্তিক রাজনীতি গ্রাস করায় ধীরে ধীরে সংগঠনে ফাঁটল ধরতে থাকে। 


কারণ স্বপন-ফয়সাল সাংগঠনিক কার্যক্রমে অজ্ঞ থাকায় এই বলয় ভিত্তিক গ্রাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এমনকি বিভিন্ন সভা সমাবেশে শোডাউনের ক্ষেত্রেও লোকবল সংকটে ভুগেন। এরমধ্যে হঠাৎ সদর থানা কৃষকদলের সভাপিত রানা মুজিব তার পছন্দে গোগনগর ইউনিয়ন কৃষকদলের কমিটি অনুমোদন দেয়ায় তার পরদিনই সদর থানা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত করেন।


সদর থানা কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্তির পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের ফাটল আরও স্পষ্ট হয়। এদিকে গতকাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন খান এক প্রকার অসন্তোষ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা কোন এক নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন তার নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চান।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন