আম্মাজান-ভাইগ্রুপের কুখ্যাত রুপু-সবুজ এখনো প্রকাশ্যে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

আম্মাজান-ভাইগ্রুপের কুখ্যাত রুপু-সবুজ এখনো প্রকাশ্যে
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ্ আলম সবুজ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আম্মাজান এবং ভাইয়াগ্রুপকে সর্বদা হোন্ডাবাহিনী দ্বারা লিড দিতেন। কিন্তু এই রুপু-সবুজ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের পত্নী পারভীন ওসমান ওরফে আম্মাজান এবং নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমান ওরফে ভাইজান তাদের ছত্রছায়ায় নারায়ণগঞ্জ শহরে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে উঠেছিলেন।
এছাড়া প্রতিনিয়ত হোন্ডা বাহিনী নিয়ে আম্মাজান এবং ভাইগ্রুপের হয়ে শহর জুড়ে ভীতি প্রদর্শন করে শহরতলী এবং শহরতলীর বাহিরের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিদস্যুতা,চাঁদাবজি,জুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ,জবরদখলে লিপ্ত থাকতেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসলাম হার্ট সেন্টারের পাশেই এই সন্ত্রাসীরা নিজেদের আস্তানা গড়ে তুলেন এক প্রকার জবরদখলের মাধ্যমে। কিন্তু এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রুপু-সবুজ এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে রয়েছেন।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার উপরে হামলা চালায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হত্যা এবং হত্যার অভিযোগ থাকলেও এখনো ইসদাইরে নিজ বাসভবনে বসে বসে ইসদাইর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করছেন। এছাড়া ছোট ভাই অপুর মাধ্যমে সামাজিক সংগঠন পরিচালনার মাধ্যমে নিজের অপরাধকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন রুপু।
অপরদিকে এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহ্ আলম সবুজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আজমেীর ওসমানের ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায়। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। অথচ, প্রায়ই পূর্বের ন্যায় চাষাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় লোকবল নিয়ে আড্ডায় মেতে থাকতে সবুজকে দেখা যায়। কিন্তু রুপু-সবুজের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে আম্মাজান ভাইজান গ্রুপের ছত্রছায়ায় ইসলাম হার্ট সেন্টারের পাশের একটি স্থাপনা দখল করে অফিস করেন,
নারায়ণগঞ্জের বালুর মাঠ এলাকায় ফুটপাত দোকান থেকে শুরু করে শহরের আরোও ব্যবসায়িক জায়গায় চাঁদাবাজি করতেন,বিসিক শিল্প এলাকা কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে আম্মাজান ভাইজান গ্রুপের হয়ে ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতে সন্ত্রাসী কায়দায়, এছাড়া শহর বা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুতা জবরদখলের লিপ্ত থাকতেন আম্মাজান ভাইজন গ্রুপের প্রভাবে এত অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকা সত্ত্বেও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে রয়েছে।
এছাড়া প্রতিনিয়ত হোন্ডা বাহিনী নিয়ে আম্মাজান এবং ভাইগ্রুপের হয়ে শহর জুড়ে ভীতি প্রদর্শন করতেন। এত অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত থেকেও রুপু-সবুজ এখনো অলৌকিক কারণে প্রশাসনের নজরদারির বাহিরে থেকে প্রকাশ্যে গুড়ে বেড়াচ্ছেন।