২০ মাসেও যুবদলের কর্মীদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

২০ মাসেও যুবদলের কর্মীদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের। গত কয়েক বছরে একের পর এক কমিটি হলেই মাঠ পর্যায়ে সর্বদা পরিশ্রম করা ইউনিট কর্মীদের ভাগ্য পরিবর্তনে কোন প্রকারের পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। এদিকে গত রমজানের পূর্বে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন জুড়ে ঘুরে ঘুরে কর্মী সম্মেলন করলেও রমজানেই তা বিলীন হয়ে পরে। এদিকে যে যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোতে ও কোন কমিটি প্রকাশ করেনি। যাকে ঘিরে যারা যারা সম্মেলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারাই তাদেরকে নেতা মনে করে এলাকায় এলাকায় অস্থিশীল আচরণ করছে।
অন্যদিকে জেলা যুবদলের কমিটি গঠনে ২০ মাস পাড় হলে ও এরা সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল থাকতে কোন প্রকারের প্রদক্ষেপ নেয়নি। যাকে ঘিরে এরা এখন পর্যন্ত নিজেদের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। তিন জনেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন। তা ছাড়া অভিযোগ রয়েছে এরা ৩ জনেই জেলা যুবদলের ব্যানারে আলাদা আলাদা ব্যানারে দলীয় পোগ্রাম করেন। নিজেদের মধ্যে নেই ঐক্যবদ্ধতা। শুধু কেন্দ্রীয় যুবলের নেতৃবৃন্দরা আসলেই ৩ মাথা এক সাথে লক্ষ্য করা যায় তা ছাড়া তিন জন খুলেছে ৩ গ্রুপ। এদিকে (২০২৪) সালের রমজানের মধ্যেই জেলা ও মহানগর যুবদলের ইউনিট কমিটি যোগ্যদের দ্বারা গঠনের লক্ষ্যে যুবদলের আওতাধীন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জরুরী সভা ও তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করেছিলেন জেলা ও মহানগর যুবদল। সে সময় সংবাদকর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তরে নেতারা বলেছিলেন এই (২০২৪) রমজানের মধ্যেই তারা একে একে করে ইউনিট কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করবে। কিন্তু ২০২৫ সালের রমজান বা অতিবাহিত হয়ে ও ঈদুল আযহা ছুই ছুই কিন্তু যুবদলের কোন প্রকারের কমিটি ও হয় না আর কর্মীরা মূল্যায়িত হয় না। যা নিয়ে জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের উপরে ক্ষিপ্ত নেতাকর্মীরা।
তা ছাড়া এর আগে ও কয়েক দফায় দফায় কমিটি গঠন হলে ও তারা ও ইউনিট কমিটিগুলোকে রাজনৈতিক পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু বর্তমান কমিটিতে কর্মীরা আস্থা রাখলে ও এরা প্রায় ২ বছর যাবৎই ঘুরাচ্ছেন। যা নিয়ে বর্তমানে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎঘাটন হচ্ছে নানা প্রশ্নের। দ্রুত কমিটি ঘন না হলে। আগামীতে মহানগর যুবদল নেতা ও কর্মী সংকটে পরবে। যার মূল কারণ হলো বর্তমানের নেতাকর্মীরা পদ-পদবী ছাড়া আন্দোলনে নামতে চায় না, কারণ সকলেই চায় তাদের একটা আলাদা পরিচিতি সেই লক্ষে শীঘ্রই ইউনিট কমিটি গঠনে জেলা ও মহানগর যুবদলের গতি ফিরবে।
সূত্রে বলছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতায় রয়েছে সদর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও বন্দর উপজেলা ইউনিট। রয়েছে ৫ ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি। এতগুলো কমিটির মধ্যে মাত্র দু’টি ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করেছে বর্তমান মহানগর কমিটির নেতারা। বাকি ইউনিটগুলোতে দীর্ঘদিন কোনো কমিটি নেই। মহানগর যুবদলের কমিটিতে বারবার রদবদল হলেও এসব ইউনিট কমিটির পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মনের আশা আর পূরণ হয়না। তা ছাড়া জেলা যুবদলের সাবেক কমিটির হাতে গঠিত কমিটি দিয়েই ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা চলমান। যারা বিগত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটি পেয়ে আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি করেছেন এরাই বর্তমানে ইউনিটে ইউনিটে যুবদলের পরিচয় দিচ্ছেন। যাদের ভীড়ে তুখোড় আন্দোলন সংগ্রামে নিজেদের জীবন ভাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পরা নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হচ্ছেন না।
এদিকে গত ২০২৩ সালের ২৯ আগস্টে মনিরুল ইসলাম সজলকে আহ্বায়ক, সাগর প্রধানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহেদ আহমেদকে সদস্য সচিব করে ঘোষণা করা হয় মহানগর যুবদলের ৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। একই দিনে সাদেকুর রহমান সাদেককে আহ্বায়ক, খাইরুল ইসলাম সজীবকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে জেলা যুবদলের ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ও ২০ মাস অতিবাহিত করে ফেললো কিন্তু ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করতে পারেনি। কিন্তু নেতাকর্মীরা আন্দোলনে রয়েছে যারা কমিটিতে স্থান পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছে। এদিকে শীঘ্রই কমিটিতে গঠনের জন্য নেতাদের কর্মীরা চাপও দিয়ে আসলে ও কোন স্বার্থে কমিটি হচ্ছে না, সেটাই অজানা। তা ছাড়া জেলা ও মহানগর যুবদলের ইউনিট কমিটি না থাকায় বর্তমানে ওয়ার্ড, ইউনিয়নে ও থানা পর্যায়ের বিভিন্ন থানার ব্যানারে নেতা সেঁজে কেউ কেউ ভালো আবার কেউ কেউ মন্দ কাজে জড়িয়ে পরছেন। যাকে ঘিরে বুঝতে বাকি নেই যে নারায়ণগঞ্জ যুবদল বেহাল দশায়।