Logo
Logo
×

রাজনীতি

ফতুল্লার সব ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার ইঙ্গিত

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

ফতুল্লার সব ইউনিয়ন বিএনপির  কমিটি বিলুপ্ত করার ইঙ্গিত

ফতুল্লার সব ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার ইঙ্গিত

Swapno



# থানা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমনই আভাস
# অনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই, চাইলেই বহিস্কার করা যাবেনা : বিল্লাল হোসেন
# প্রতিহিংসা করে কমিটি ভেংঙ্গে দেওয়ার কথা বলে : হাসান মাহমুদ পলাশ
## কমিটি ভাঙার আগে গঠনতন্ত্র বুঝতে হবে : সুলতান মোল্লা



বিএনপির ফতুল্লা থানার আওয়াতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক  বারী ভূঁইয়ার বক্তব্যে এমনটিই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।


এমনকি এনায়েত নগর ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য কার্যক্রমের দুটি অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও থানার নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমেই এই বিষয়টি খুব ভালভাবে ফুটে উঠেছে। এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা আলাদাভাবে প্রোগ্রাম করছেন এমনকি আমাদের এই প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ করছেন তাদেরকে কমিটিতে রাখা হবে না। যে কোন সময় ভেঙে দেওয়া হতে পারে।’ তার এই কথার জের ধরে একই সুরে কথা বলেছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুও।


জানা যায়, ২০২৩ সালের ৮ জুন কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপির কার্যালয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক বারী ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত বিএনপির প্যাডে কুতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েতনগর ও কাশিপুর ইউনিয়নের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।


এতে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  হিসেবে বিল্লাল হোসেন, কুতুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুমন মাহাবুব, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতন এবং আরিফ মণ্ডলকে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  করে প্রতিটি ইউনিয়নে ৭১ সদস্য করে এই কমিটি দেওয়া হয়।


তবে এই কমিটি দেওয়ার দুই বছরের মধ্যে বিভিন্্ন সময় বিভিন্ন গ্রুপিং দেখা যায়। এতে করে কোন কোন ইউনিয়নের সভাপতি এক গ্রুপে আবার ওই একই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরেক বলয়ে পৃথকভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন ও অংশগ্রহণ করতে থাকে। বিশেষ কমিটির দেওয়ার সময়ে সবাই ফতুল্লা থানা বিএনপি ও জেলা নেতৃবৃন্দ প্রথমে একই বলয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে কেউ কেউ অন্য বলয়ে সরে গেছেন। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের সাথে এখনো এই চারটি ইউনিয়ন কমিটির বেশির ভাগ নেতৃবৃন্দ তার সাথেই আছেন।


তবে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন তারা দু’জনই বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদের বলয়ে থেকে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। তবে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বাকি ৬ জন এখনো গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।


কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে বাকি ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দকে দেখতে না পেয়ে অনেকটা ক্ষোভেই কমিটি ভেঙে দেওয়ার মতো কথা বলছেন মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।


এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ যুগের চিন্তাকে বলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কমিটি ভাঙার কোন সুযোগ নেই। যারা কমিটি ভাঙার কথা বলে তারা প্রতিহিংসামূলক এই কথাগুলো বলে। আমরা তাদের প্রোগ্রামে দাওয়াত পাই না, তাই যাই না। তবে আমরা দলীয় সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামেও সক্রিয়ভাবে ছিলাম। যদি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয় দলের সাথেই থাকবো, এতে আমার পদ থাকুক আর না থাকুক।


কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন যুগের চিন্তাকে বলেন, কোন রকম অভিযোগ ছাড়া কাউকে বহিষ্কার করা সম্ভব নয়। কারণ থানা কমিটি চাইলেই তারা কমিটি বাতিল করতে পারবে না, কেন্দ্রের নির্দেশনা ছাড়া। আমরা বিগত দিনে রাজপথে ছিলাম, পরিবার ছাড়া ঘরবাড়ি ছাড়া ছিলাম। কেউ চাইলেই তাঁর মন মত করে কমিটি বাদ দিতে পারবে না। আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে এই কমিটিতে এসেছি।


কুতুবপুর ইউনিয়নে বিএনপির দুইজন সভাপতি দাবি করার বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি নিজেকে বোকার মতো নিজেকে সভাপতি মনে কওে, তাহলে আর কি করার! আমি তো দেশের বাহিরে যাইনি কিংবা ছুটি নেইনি, যে কারণে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পরিচয় দিতে হবে।



ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মোল্লা যুগের চিন্তাকে বলেন, আগে দলের গঠনতন্ত্র বুঝতে হবে, কিভাবে বহিষ্কার হয়। তাদের সাথে না গেলে বহিষ্কার করা হবে ,এর দ্বারা তারা কি বুঝায়? আমরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ভালবাসি, দলের সাথে সবসময় আছি। আমরা দলের সকলকে ঐক্যে আনার চেষ্টা করছি। আমরা কখনোই পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করিনি। জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনৈতিক চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে নির্বাচন দল যাকেই মনোনয়ন দিবে, আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন