গোপালগঞ্জের ঘটনায় আজ হরতাল ডেকেছে ‘নিষিদ্ধ’ আ.লীগের ৪ সংগঠন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
গোপালগঞ্জের ঘটনায় আজ হরতাল ডেকেছে ‘নিষিদ্ধ’ আ.লীগের ৪ সংগঠন
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় আজ সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগের চার সংগঠন; যেগুলোসহ ক্ষমতাচ্যুত দলটির কার্যক্রম ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ডাক দেয়।
আওয়ামী লীগ ও সংগঠনগুলোর নিজেদের ফেইসবুক পেইজে বিবৃতিটি প্রকাশের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেও তা পাঠানো হয়।জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে বুধবার গোপালগঞ্জে শহরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
এনসিপির অভিযোগ, জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে তাদের সমাবেশ মঞ্চ ও গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের লোকজন। আওয়ামী লীগের চার সংগঠনের অভিযোগ, গোপালগঞ্জে ‘নির্বিচারে’ গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘অবৈধ’ দাবি করে সংগঠনগুলো ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার বিরোধিতাও করেছে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবি করে এ হরতাল কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে সংগঠনগুলো।
এর আগে ১৬ ও ১৯ ফেব্রুয়ারিতে যথাক্রমে অবরোধ ও হরতাল ডাকলেও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলটির ও সহযোগী সংগঠনের কাউকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভ্যুত্থান দমাতে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপিদের বিচারের প্রক্রিয়া চলছে।
যৌথ বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের এই সংগঠনগুলোর অভিযোগ করেছে, অন্তর্র্বতী সরকার ‘জবরদখল করে সন্ত্রাস-সহিংসতা-ষড়যন্ত্রের’ মাধ্যমে, জনগণের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া ক্ষমতায় বসেছে। সরকারকে ‘সংবিধান লঙ্ঘনকারী ও ‘খুনি-ফ্যাসিস্ট’ আখ্যায়িত করে সংগঠনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা এই হরতাল ডেকেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব উপস্থিতির পাশাপাশি মাঝে মাঝে নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিল চলার মধ্যে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগ, তার সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।


