Logo
Logo
×

রাজনীতি

ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে থানা বিএনপির শোকজ নোটিশের হুঁশিয়ারি

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে থানা বিএনপির শোকজ নোটিশের হুঁশিয়ারি

ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে থানা বিএনপির শোকজ নোটিশের হুঁশিয়ারি

Swapno

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফতুল্লার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে আলাদা আলাদাভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


তবে এই কার্যক্রম ঘিরে সংগঠনের অভ্যন্তরে স্পষ্ট বিভাজন লক্ষ করা যাচ্ছে। একটি বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম। অন্যদিকে, আরেকটি বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুনমাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া।


এই দুই বলয়ের কর্মসূচির মধ্যে উপস্থিতি না থাকা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা ও থানা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, যেসব ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের সাথে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে ইউনিয়ন কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।


ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, দলীয় কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়ন বিএনপির যেসব শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, তাদেরকে শোকজ করা হবে। প্রয়োজনে কমিটি ভেঙে দিয়ে ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি গঠন করব।


শোকজ হতে পারেন এমন নেতাদের তালিকায় রয়েছেন  : ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, এনায়েত নগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিলাল হোসেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের কমিটির মধ্যে যারা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন না, তাদেরও তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সেসব  নেতাদের পক্ষ থেকে এসেছে ভিন্ন সুর।


ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ বলেন, আমরা সব সময় ময়দানে সক্রিয় ছিলাম। আমাদের বাদ দিয়ে কোনও ষড়যন্ত্র হতে দেব না। আমরাও তো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি যেখানে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কিন্তু সভাপতি ছিলেন না।
সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, জেলা বা থানা পর্যায় থেকে আমাদেরকে জানানো হয় না, আমন্ত্রণ করা হয় না। তাহলে আমরা জানব কীভাবে এবং যাবই বা কীভাবে?


কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিলাল হোসেন বলেন, জেলা বা থানা নেতারা আমাদের কোন কর্মসূচিতে অবহিত করেন না। সাংগঠনিক নিয়ম তারাই মানছেন না। তবে আমি সবসময় দলে ছিলাম, থাকব। যদি আমন্ত্রণ পাই অবশ্যই অংশগ্রহণ করব।


এনায়েত নগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন বলেন, আমি যখন অনুষ্ঠান করি তখন আমাদের ইউনিয়নের নেতারাই আসে না। তাহলে আমি কেন অন্যদের প্রোগ্রামে যাব? আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই যাব।


কাশিপুর ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম রতনের মায়ের মৃত্যুর কারণে তার মন্তব্য নেয়া যায়নি। এখন দেখার বিষয়, জেলা ও থানা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিতর্ক ও বিভাজনকে কীভাবে সামাল দেন এবং সাংগঠনিকভাবে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন