Logo
Logo
×

রাজনীতি

সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল ছিলেন বন্দরের পাঁচ চেয়ারম্যান : এড. সাখাওয়াত

Icon

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল ছিলেন বন্দরের পাঁচ চেয়ারম্যান : এড. সাখাওয়াত

সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল ছিলেন বন্দরের পাঁচ চেয়ারম্যান : এড. সাখাওয়াত

Swapno

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত ১৫ বছর বন্দরে সেলিম ওসমানের অপশাসন চলেছে। তিনি এই এলাকা নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করতেন। চেয়ারম্যানদের লাঠিয়াল বানিয়ে জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছেন। তা ছাড়া ৫ আগস্টের পর মুছাপুরে ২৫-৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যারা এসব অপকর্মে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাকসুদ নামে একজন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাজুরবাগ এলাকায় আয়োজিত সদস্য ফরম নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর টাকার রাজনীতি করে। শামীম ওসমান ও নাসিম ওসমান বন্দরের মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণের সেই টাকা ফেরত আনা হবে।


বক্তব্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কোমর ভেঙে গেছে, দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন না। যদি কেউ ভুল করে নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে মিছিল-মিটিংয়ে যায়, নাশকতার মামলায় জেলে বসে মরতে হবে। আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণে, সমাজের দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস দূর করার জন্য। যারা অপকর্ম করে, তাদের সরিয়ে দিতেই আমাদের রাজনীতি।


তিনি আরো বলেন, বিএনপি উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন অনুযায়ী আমরা বিশ্বাস করি, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র বা দেশের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। বর্তমান সরকার অন্তর্র্বতীকালীন, তাদের কাজ হচ্ছে জনগণকে শান্তিতে রাখা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু সরকারের একটি অংশ নির্বাচন নিয়ে হেরফের করতে চায়। আমরা বলেছি, তারেক রহমানসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে রোজার আগেই (আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে) নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় আবারও আমরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো।


সর্বশেষ সদস্য নবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির সদস্য হতে পারবেন তারা, যারা আদর্শবান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক, শ্রমিক। কিন্তু যারা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি করে, তাদের সদস্য নবায়ন হবে না।


এ সময় মুমুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, এডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, ফতেহ্ মো. রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া হিরন, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনসহ প্রমুখ। 


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন