জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণে দিপু আউট, আজাদ ইন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণে দিপু আউট, আজাদ ইন
আওয়ামীলীগের শাসন আমল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রক হিসেবে খেতাব অর্জন করেছিলেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভঁইয়া। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার এই দুই নেতা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জেলা প্রতিটি অঞ্চলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে পৃথক পৃথক বলয় গড়ে তুলেছেন।
আর এই বলয় কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক প্রভাবও দেখা মিলে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে এমনকি বলয় ভিত্তিক রাজনীতির কারণে এই নেতাদের ইশারায় জেলা বিএনপি দ্বিখন্ডিত থাকে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির রাজনীতি নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে এই দ্ইু নেতার হাতিয়ার হচ্ছে দলীয় পদ পদবী কমিটি নিজেদের পছন্দের নেতাদের পদায়নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের রাজত্ব কায়েম করা। তবে কমিটির পরিবর্তন ঘটলে পছন্দের নেতারা পদচ্যুত হলে নিয়ন্ত্রণেরও পরিবর্তন ঘটে।
সেই আলোকে বর্তমান জেলা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া কিন্তু বর্তমান কমিটির গুরু দায়িত্বে থাকা তিনজনের দুজনই তার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বহু নেতাকে তিনি পদায়ন করলেও তারপরও নিয়ন্ত্রণে যেতে পারেননি। যার কারণে জেলা বিএনপির মূল ব্যানারের রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছেন তবে জেলা বিএনপিকে আওয়ামীলীগের শাসন আমল থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন জেলা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করা ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ফের জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণে ফিরেছেন।
দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ঢাকার বিজয় র্যালিতে সাইনিং পাওয়ারে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ,১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু,যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি করার কথা থাকলেও ঢাকায় জেলা বিএনপির ব্যানারে যোগ দেননি মোস্তাফিজুর রহমান দিপু। অথচ, তিনি ঢাকার বিজয় র্যালিতে অংশ নেন জেলা বিভিন্ন নেতাদের সাথে ফটোশেসন এবং তার রূপগঞ্জ এলাকার ব্যানারে শোডাউন করে দায় এড়ান।
মূলত, জেলা বিএনপিতে তার নিয়ন্ত্রণ অনেকটা লোপ পাওয়ায় বিগত কয়েকটি কর্মসূচিতেই তিনি ব্যস্ত নানা কারণে অনউপস্থিত থাকেন এবং জেলা বিএনপিকে অনেকটা এড়িয়ে চলেন। যার ফলে জেলা বিএনপিতে তার বলয়ের সমর্থকরাও এখন জেলা বিএনপির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন দায় এড়াতে। কিন্তু দিপু ভূইয়া কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্মসূচিতে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং জেলার পদে থাকা নেতারা স্বতঃফূর্ত ভাবে ঠিকই অংশ নিচ্ছে।
জেলা বিএনপিতে রাজনীতিতে দিপু ভূইয়ার গড়িমসিতে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে ফের নিয়ন্ত্রণে ফিরেছেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। কেননা বর্তমান জেলা বিএনপির পূর্ণ কমিটি তথা জেলা বিএনপির সাইনিং পাওয়ারে থাকা আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব এই শীর্ষ দুই নেতাও নজরুল ইসলাম আজাদ জেলা বিএনপিতে তার নিয়ন্ত্রণ মেনে নিয়ে রাজনীতি করেছেন বিগত সময়ে এখনও তারা আজাদের নিয়ন্ত্রণকে প্রধান্য দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে আবারও নজরুল ইসলাম আজাদকে ইন করেছেন।
কারণ বিএনপির আন্দোলনের সংগ্রামের সময় থেকে দীর্ঘদিন তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। তাছাড়া আর্থিক ভাবে এবং দলের দুঃসময়ের ত্যাগী অস্বচ্ছল নেতাদের ঢাল হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন আজাদ। যার ফলে পরিপক্ক জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রক এবং ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকা নজরুল ইসলাম আজাদের উপরেই ভর করতে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির নেতারা।


