Logo
Logo
×

রাজনীতি

বিএনপির চাঁদাবাজ নেতারা গ্রেফতার আতঙ্কে

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

বিএনপির চাঁদাবাজ নেতারা  গ্রেফতার আতঙ্কে

বিএনপির চাঁদাবাজ নেতারা গ্রেফতার আতঙ্কে

Swapno

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলসহ নির্বাচনী আসন গোছাচ্ছে বিএনপি। এর পাশাপাশি সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের প্রতিটি আসনের প্রতিটির মধ্যেই বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। এদের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই-বাছাই ৫ই আগষ্ট পূর্বের ও পরবর্তী রাজপথের সক্রিয় ভূমিকাসহ নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত এবং জনগণ যাদের চিনেন এমন প্রার্থী যাচাই-বাছাই করছে দলটি।


তা ছাড়া যে সকল বিএনপি নেতাকর্মীরা ডজন ডজন অভিযোগে জর্জরিত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে দলটি। এর বাহিরে ও চাঁদাবাজ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের তালিকা করে তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। যাকে ঘিরে বর্তমানে একের পর এক বিএনপির চাঁদাবাজিতে অভিযুক্ত নেতারা বহিস্কার ও গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। তা ছাড়া আজীবন বহিষ্কারসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও লাগাম টানা যাচ্ছে না বিএনপির একশ্রেণির নেতাকর্মীদের।


এই নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখল এমনকি খুনের মতো গুরুতর অভিযোগে বিব্রত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী নির্বাচনে এসব ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কায় থেকে কর্মীদের থেকে বেশি চাপে ফেলা হচ্ছে নেতাদের। এদিকে নারায়ণগঞ্জে চলতি বছরের গত (১৫ মে) প্রথম একশ্যান হিসেবে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে আটক ও দল থেকে বহিস্কার করেছিলেন পুলিশ। যাকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতারা ব্যাপক আতঙ্কে পরলে ও অপকর্ম থেকে পিছু হাঁটেনি।


পরবর্তীতে গতকাল (৭ আগষ্ট) ফতুল্লার পর সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপর সাবেক যুগ্ম আহবায়ক টি.এইচ তোফাকে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারা মোতাবেক ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এসএম আসলাম এসওরোড এলাকায় মেঘনা জ¦ালানি তেলের ডিপো ও টিএইচ তোফা শিমরাইল মোড়ের ফুটপাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে।


একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সত্যতা মিলে। পরে তাদের আটক করা হয়। এ ছাড়া ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলের নাম করে চাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী। এর মধ্যে ‘হাইব্রিড’ ও ‘নব্য বিএনপির’ নামধারীরাই বেশি বেপরোয়া। এমনকি তারা তৃণমূল বিএনপিতে কোন্দল ও গ্রুপিংয়েও সম্পৃক্ত। ফলে কয়েকটি জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে। কোনো কোনো ঘটনায় বিব্রতও হতে হচ্ছে বিএনপিকে।


এ অবস্থায় দলের নাম করে অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর হতেই শুদ্ধি অভিযান দিতে যাচ্ছে বিএনপি। তা ছাড়া প্রশাসনিক যে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হলে গোয়েন্দা তালিকায় থাকা বিএনপির বিতর্কিতদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  তা ছাড়া গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১২ মাসে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সাথে ব্যবসা বানিজ্যে ও দখলদারিত্বে আপোষ করে যেমন বিএনপির বহু নেতাদের উত্থান হয়েছে তেমনই পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে ছাত্র আন্দোলনে পুরো দমে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের।


ইতিমধ্যে খালি মাঠে থাকা নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেলে ও বর্তমানে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিএনপি নেতাদের মাঝে। একের একে ফাঁস হচ্ছে আমলনামা তাছাড়া গোয়েন্দা বাহিনীর কাছেও পটপরিবর্তনের পর এবং বর্তমানের আপডেট সকল আমলনামা প্রস্তুত থাকায় অনেকটাই চিন্তিত বিএনপি নেতারা। তাছাড়া বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবকিছুই বিএনপি নেতাদের দখলে।


নগরীর হাট-বাজার, ঘাট, বাস টার্মিনাল শুধু নয়, বিভিন্ন মালিক সমিতির কমিটি, চেম্বার অব কমার্স, ইয়ার্ন মাচেন্ট এসোসিয়েশন, ট্রাক স্ট্যান্ড, এমনকি বিসিক শিল্পনগরী, বালু মহাল, ড্রেজিংয়ের ব্যবসা ও থ্রি হুইলার স্ট্যান্ড, টেন্ডারবাজি, সরকারি দপ্তর নিয়ন্ত্রণ, থানা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ স্ট্যান্ড, ফুটপাত, পানি সরবারহ, সরকারি জায়গায় দোকান, জায়গার লিস বানিজ্যে, মামলা বানিজ্যে, সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন উপজেলার সকল টেন্ডার। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের অনেকেরে দেশের বাহিরে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বৈঠক করার অভিযোগ রয়েছে।


এ ছাড়া বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সকল ব্যবসা বানিজ্যেসহ তাদের দখলে থাকা সবই আপোষের মাধ্যমে বুঝে নিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ডিস বাবুর ক্যাবল ব্যবসা ভাগ যোগের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন, অয়ন ওসমানের ইন্টারনেট ব্যবসা এটা ও ভাগযোগের মাধ্যমে বিএনপি নেতাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। বিসিক শিল্পঅঞ্চল যা বিগত দিনে আজমেরী ওসমান ও শামীম ওসমানের নিয়ন্ত্রণে ছিলো সেটা ও বর্তমানে বিএনপি ও যুবদল, স্বেছাসেবক দল, ছাত্রদলের কয়েকগ্রুপের নিয়ণন্ত্রনে।


তা ছাড়া ফতুল্লার কুতুবআইল, কাঠেরপুলের সকল গার্মেন্টস ও ডাইং ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদাবাজি, ঝুট নিয়ন্ত্রণসহ ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নের সবই নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপি। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ইপিজেড থেকে শুরু করে ১০ টি ওয়ার্ডে সবই আওয়ামী লীগের সাথে আপোষ করে বিএনপির নিয়ন্ত্রণে। সদর থানার আওতাধীন সকল ব্যবসা বানিজ্যে, বন্দর উপজেলা ও থানার আওতাধীন সবই আপোষের মাধ্যমে বিএনপির নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপই সাবেক সাংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে আপোষ করে সব নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।


রূপগঞ্জ দুই গ্রুপের হাতে সেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী মন্ত্রী গাজী আপোষে। ঠিক একইভাকে সোনারগাঁ নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগের আপোষে বিএনপির ব্যাপক অবস্থান। তা ছাড়া পটপরিবর্তনের পরপরই এই সকল উপজেলা ও থানায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগানোসহ মামলায় ঢুকানোর কথা বলে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা আপোষ করেছেন ব্যবসা-বানিজ্যেসহ দখলদারিত্বে থাকা সবই। তা ছাড়া ও চারপাশের জানা অজানা সবই বর্তমানে এককভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা।


এ ছাড়া গত ১২ মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় ঝুট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জাহাজ কেঁেট হজম, চাঁদা না পেয়ে গার্মেন্টস ও আওয়ামী লীগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুনসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির একাধিক গ্রুপের সংঘর্ষের দৃশ্যমান রয়েছে। যাকে ঘিরে অনেকের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন আবার অনেককে রাখা হয়েছে কেন্দীয় নজরদারিতে তা ছাড়া এর বাহিরে বিএনপির সকল নেতাকর্মীই বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারিতে ও রয়েছে।


তা ছাড়া দল ও সরকারের শুদ্ধি অভিযানে ৫ আগস্টের পর দলে আসা সুবিধাভোগী নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা দলের সর্বোচ্চ সতর্কতা উপেক্ষা করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন, তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলখ্যাত হিসেবে নারায়ণগঞ্জে এই সাংগঠনিক অভিযানে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।


সূত্র বলছে, পটপরিবর্তনের বিএনপির নানান অপকর্মের ফল হিসেবে ২০২৪ সালের (১৭ সেপ্টেম্বর) দলীয় নির্দেশনা অমান্যর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরসহ উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পৌর, ওয়ার্ড ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করার পর এখন ও যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় দেওয়া হয়নি কোন কমিটি। তার কিছুদিন পরপরই ২৫ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তার যুগের চিন্তার তদন্তের প্রেক্ষিতে বেড়িয়ে এসেছিলো জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কুকর্ম।


তিনি পটপরিবর্তনের পরপরই সন্ত্রাসী মন্ত্রী গাজীর মতো পুরো রূপগঞ্জ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যাপক অপকর্ম চালিয়েছেন হয়েছে শত শত কোটি টাকার মালিক। তার বিরুদ্ধে সকল তথ্য গোয়ান্দা সংস্থার নিকট রয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত (১ জানুয়ারী)  নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো।


তা ছাড়া আওয়ামী লীগে নেতার পরিবারের কাছ থেকে মামলা বানিজ্যের টাকা চাওয়ার রেকডিং ফাঁস হওয়ায় বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণকে শোকজ করেছে নারায়ণগঞ্জ  মহানগর বিএনপি। তা ছাড়া ও ২০২৪ সালের (২৯ সেপ্টেম্বর) বাস স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান গ্রেফতার হয়েছিলেন।


পরবর্তীতে গত ২০২৪ সালের (১৫ অক্টোবর) চাঁদা দাবির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান পিন্টুকে গ্রেফতার করেছিলেন যৌথবাহিনী। তা ছাড়া ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ও থানায় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে। পটপরির্বতনের পর বহিস্কার হিসেবে রয়েছে ,


গত ২০২৪ সালের (৫ নভেম্বর) দলের ভাবমূর্তি নষ্টের দায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য অকিলউদ্দিন ভূইয়া এবং সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন। ২০২৪ সালের (১৪ ডিসেম্বর) “দলবল নিয়ে সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে শারীরিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ইকবাল হোসেনের কর্মকাণ্ড দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।  গত (২৩ জানুয়ারী) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়াকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কার করা হয়।


গত (২০ মার্চ) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রূপগঞ্জ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মিয়াকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিস্কার করা হয়।পরবর্তীতে এক সংঘর্ষে আড়াইহাজারে বিএনপির ৬ নেতাকে বহিস্কার করা হয়।


সর্বশেষ সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপর সাবেক যুগ্ম আহবায়ক টি.এইচ তোফাকে দল থেকে বহিস্কার করা হলে ও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে হয়তো দ্রুত এদের বহিস্কার করা হবে।


এখন বিএনপিতে আগামীর টার্গেট কে? সেটা নিয়েই ভাবছে নেতাকর্মীরা। তা ছাড়া ও বর্তমানে বিএনপির চাঁদাবাজদের তালিকা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের নাম উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে সূত্র। নির্বাচনের পূর্বেই বিএনপিকে জনগণের নজরে ক্লিন রাখতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন