Logo
Logo
×

রাজনীতি

সীমানা পরিবর্তনেও তাদের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেনি

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

সীমানা পরিবর্তনেও তাদের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেনি

সীমানা পরিবর্তনেও তাদের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেনি

Swapno



নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তন নিয়ে টালমাটাল বিএনপির রাজনীতি। আসন পরিবর্তন নিয়ে অস্থির রাজনীতির মধ্যেও তিনটি আসনের মধ্যে বিভিন্ন আসনে নির্বাচন করতে চাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন।


মূলত,সীমানা পরিবর্তন হওয়া প্রতিটি আসনেই নির্বাচন করার সক্ষমতা রয়েছে আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সীমানা বন্দর থেকে আলাদা হয়ে সিটি এলাকায় পরিবর্তন হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাখাওয়াত হোসেন খানেরও সেই সক্ষমতা রয়েছে। কারণ ২০১৬ সালে বিএনপির দুঃসময়ের সিটি নির্বাচনেই প্রমাণিত হয়েছে সিটি এলাকায় সাখাওয়াত হোসেনের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে।


সূত্র বলছে, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে জয়ী হন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। পরবর্তী ২০০৮ সালে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) এলাকা নিয়ে নির্বাচন হওয়ার ঘোষণা আসলে তিনি সোনারগাঁয়েও তার রাজনীতি বিস্তৃত করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ সদর বন্দর এলাকা নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠিত হলে এবং ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন (সোনারগাঁ) আসনটি একক ভাবে থাকলে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন পুরো সিটি এলাকাতেই তার রাজনীতি বিস্তৃত করেন।


তারই ধারাবাহিকতায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সীমানা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি সম্প্রতি পরিবর্তন হওয়ার তিনটি আসনের নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়েছেন এবং তিনটি এলাকায় তিনি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার কারণে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটি (সোনারগাঁ-বন্দর) করা হলেও তার নির্বাচনী প্রস্তুতিতে কোন প্রকার প্রভাব ফেলেনি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তে এবং দলীয় মনোনয়নে যেখানেই তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সেখানেই তিনি নির্বাচন করবেন। তবে এই তিনটি আসনেই তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সীমানা পরিবর্তনের মত ঘটনায় রাজনীতিতে টালমাটাল পরিবেশ তাকে দমাতে পারেনি।


অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন থান সদর-বন্দর এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এই এলাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের কারণে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি সম্পূর্ণ রূপে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পুরো এলাকায় স্থান্তর করা হলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা গেলেও ফুরফুরে রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। কারণ তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ সদর-বন্দর এলাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় হওয়ায় তিনি পূর্ব থেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে একটি অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।


পাশাপাশি বর্তমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা অর্ন্তভুক্ত হওয়া সেখানেও একটি রাজনৈতিক অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান। যার প্রমাণ ২০১৪সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই তিনি দিয়েছেন। কারণ ২০১৪সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপির দুঃসময়ে আওয়ামীলীগের হেভীওয়েট প্রার্থী এবং সে সময়ের রানিং মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপরীতে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ৯৬হাজার ৪৪ ভোট পেয়েছিলেন।


প্রায় ১লাখ ভোটের দ্বারপ্রান্তে তিনি গিয়েছিলেন। তবে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১১বছর প্রায় এক যুগের মত সময়ে সাখাওয়াত হোসেন রাজনৈতিক উর্বরতা এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে তার ভোট ব্যাংক আরও দিগুণ হয়েছে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সীমানা পরিবর্তনেও ফুরফুরে রয়েছেন সাখাওয়াত। তবে এই তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের খসড়া চূড়ান্ত হলে সীমানা পরিবর্তন চূড়ান্ত হয়নি।


এছাড়া আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে সীমানা পরিবর্তনের বিপরীতি আপিল করার। এদিকে বিএনপিতে সীমানা নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অস্থিরতা থাকায় গত১ আগষ্ট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৩ আগষ্টের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের দায়িত¦প্রাপ্ত নেতাদের কাছ থেকে মতামত চেয়েছেন বিএনপি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন