Logo
Logo
×

রাজনীতি

না.গঞ্জ-৫ আসনে পরিচিতিতে এগিয়ে সাখাওয়াত

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

না.গঞ্জ-৫ আসনে পরিচিতিতে এগিয়ে সাখাওয়াত

না.গঞ্জ-৫ আসনে পরিচিতিতে এগিয়ে সাখাওয়াত

Swapno



নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। বিগত দিনে শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের নিয়ে গড়ে উঠা এই আসনটিতে গত (৩০ জুলাই) সীমানা পুর্ণবিন্যাসকে ঘিরে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠনের খসড়া প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই ৫ আসন জুড়ে নানা সীমকরণ ও হৈ-চৈ লক্ষ্য করা গেছে।


এদিকে ৫ আসনের পুর্ণবিন্যাসে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড দিয়ে গঠন করায় বন্দরের কয়েকটি পক্ষ ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করে সীমানা পুর্ণবিন্যাস বাতিলের আপিলসহ দফায় দফায় মানববন্ধন করছেন। অপরদিকে আরেকটি পক্ষ সীমানা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। আসন্ন নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও মনোনয়ন পেতে বিএনপির একাধিক প্রার্থী সরব থাকলে ও এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৬ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বতা করেছেন।


সেই সূত্রে নির্বাচনকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ড, সদরের ৮টি ওয়ার্ড ও বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড এই মোট ২৭টি ওয়ার্ডে নির্বাচনকে ঘিরে চষে ফেলেছিলেন। তা ছাড়া নির্বাচনী গণসংযোগ, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বেঠকের মাধ্যমে তার একটি আলাদা পরিচিতি উঠে এসেছিলো। তা ছাড়া আসনের সীমানা পুর্ণবিন্যাসে নতুন করে সিদ্ধিরগঞ্জ যুক্ত করা হয়েছে সেখানে ২০১৪ সালে সাত খুন হওয়ার পর তার মামলার দায়িত্বে নিয়ে লড়ায়  এড. সাখাওয়াত হোসেন খান সেই অঞ্চলে সাহসী ও পরিচিত হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। তা ছাড়া অন্যদিকে গত ৩ বছর যাবৎ মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে পালনে মহানগরীর বাকি ১৭ টি ওয়ার্ডে তার নিয়মিত পথচলা রয়েছে।


যাকে ঘিরে সর্ব দিক বিবেচনায় মনোনয়ন যুদ্ধে না হলে ও পরিচিতিতে ব্যাপকভাবে এগিয়ে রয়েছেন এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। এর বাহিরে ও আরো মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন, মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান, সাবেক সাংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবসহ আরো অনেকেই। সকলেই যোগ্যতা সম্পূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে। বর্তমানে দল যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করেই যেহেতু মনোনয়ন দিবে সেই ক্ষেত্রে দলের দিকেই তাকিয়ে আছেন নেতাকর্মীরা। তা ছাড়া সকলেই যে যার যার মতো করে জনসম্পৃক্ত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সর্বশেষ কার ভাগ্যে মনোনয়ন জুটে সেটাই দেখার বিষয়।


এদিকে সূত্র বলছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই এ আসনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি প্রায় সমানভাবেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তবে বেশির ভাগ সময়ে এই আসনটি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্যরা সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে ছিলেন সেলিম ওসমান। যিনি ওসমান পরিবারের সদস্য।


কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওসমান পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। ফলে এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। যাকে ঘিরে গত ৫ আগষ্টের পরপরই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা (সদর-বন্দর) ঘিরে চষে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই ভালো ভালো কাজের মাধ্যমে ফুটে উঠতে চাইছিলেন। এমনই অবস্থায় আসনের সীমানা পুর্ণবিন্যাসে সবার প্রস্তুতি এলোমেলো হয়ে গেলে ও বিগত দিনের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মাঠ চষে পরিচিতি পাওয়া সাখাওয়াত রয়েছে ফুরফুরে মেজাসে। তা ছাড়া বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রায় তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।


তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে থাকলে ও আসন পুর্ণবিন্যাসে তিনি প্রায় দিশেহারা প্রায়। কারণ (সদর-বন্দর) জুড়ে কালামের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলে ও সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি জিরো প্রায়। সেই দিক বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এখন সাখাওয়াত হোসেন খান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৬ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বতা করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ সদর-বন্দর এলাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় হওয়ায় তিনি পূর্ব থেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে একটি অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। পাশাপাশি বর্তমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা অর্ন্তভুক্ত হওয়া সেখানেও একটি রাজনৈতিক অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।


যার প্রমাণ ২০১৪ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই তিনি দিয়েছেন। কারণ ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপির দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হেভীওয়েট প্রার্থী এবং সে সময়ের রানিং মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিপরীতে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট পেয়েছিলেন। প্রায় ১ লাখ ভোটের দ্বারপ্রান্তে তিনি গিয়েছিলেন। যাকে ঘিরে তার সেই পুরনো ব্যাংক ভোট এখনো থাকায় বর্তমানে তিনি অনেকটাই উজ্জ্বীবিত রয়েছেন। যাকে ঘিরে দল এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে মনোনয়ন দিলে পরিচিতি ও ভোট ব্যাংক এবং ধানের শীর্ষের গ্রহণযোগ্যতায় তার জয়জয়কার হবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তা ছাড়া আরেক প্রার্থী মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি মাসুদুজ্জামানের।


তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকেই সরব রয়েছেন। সেই সঙ্গে বিএনপি দলীয় মনোনয়নের জন্য স্থানীয় বিএনপিসহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যোগাযোগ রাখছেন। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। তা ছাড়া গত ৫ আগষ্টের পরবর্তী সময় জুড়েই (সদর-বন্দর) চষে বেড়াচ্ছেন এই মডেল মাসুদ। যাকে ঘিরে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্বল প্রায়। তা ছাড়া মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু যিনি বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে বেশ কিছুটা পরিচিত নয়। কিন্তু সদর-বন্দরে টিপুর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।


একই আসনের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ দুই আসন এলাকা থেকে যে কোন একটি থেকে মনোনয়ন চাইছেন। বর্তমানে দুই জায়গায় তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তা ছাড়া এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ হিসেবে (সদর-সিদ্ধিরগঞ্জে) রাজীবের পরিচিতি ব্যাপক থাকলে ও বন্দরে তার পরিচিতি কম প্রায়। যাকে ঘিরে উভয় দিক বিবেচনায় আসন পুর্ণবিন্যাসের খসড়া মেতাবেক ৫ আসনে পরিচিতি মুখ হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন