ক্ষমতাচ্যুত নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের বর্তমানে প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার কোন প্রকার পরিবেশ পরিস্থিতি না থাকায় তাদের বর্তমান নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হয়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি অ্যাপস্ টেলিগ্রাম। সেখান থেকেই বের হয়ে আসছে ক্ষমতাচ্যুত নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অপকর্মের নীল নকশা এবং দলীয় কোন্দল গ্রুপিংকে ভিন্ন ধারায় প্রভাবিত করে নয়া গ্রুপিং নয়া আঙ্গিকে বলয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায়ও রয়েছে

নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের আত্মগোপনে থাকা নেতাদের মধ্যে অথচ, এক বছরের অধিক সময় ধরে তারা নিজেরাই হত্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। এদিকে তাদের নীল নকশার এবং তাদের বলয় ভিত্তিক নয়া গ্রুপিং রাজনীতির সকল প্লান ইতিমধ্যে তাদের সাথে বণিবনা না হওয়ায় খোদ তাদের সমর্থকরাই নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক প্লাটফর্ম টেলিগ্রাম গ্রুপে তাদের আলোচনাগুলো সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করছেন।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামীলীগের সংগঠনের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম টেলিগ্রাম নিয়ে বিতর্কে সর্বত্ত আলোচনায় রয়েছেন ফতুল্লা থানা এবং সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যেই ফতুল্লা আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিভেচিত মীর সোহেল এবং মীর হোসেন মীরুর অপকর্মের নীল নকশার রোড ম্যাপ তৈরী করে সমর্থকদের নেতৃত্বে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছেন আর সেখানে এসে আত্মগোপনে থাকা নেতারা বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করছেন।

ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের কোন প্রকার অস্তিত্ব না থাকলেও এসকল নেতাদের সমন্বয়ে নয়া মাত্রায় আওয়ামীলীগের গ্রুপিং বলয় ভিত্তিক রাজনীতিকে নয়া মাত্রায় আত্মপ্রকাশ ঘটাতে ক্ষমতাচ্যুত নেতারা আত্মগোপনে থেকেই রোডম্যাপ করছেন। সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের একক নিয়ন্ত্রক ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার এবং তার এই নিয়ন্ত্রণের মূল ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে কাজ করতেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সি.সহ-সভাপতি ইঞ্জি.মাসুদুর রহমান মাসুম, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনি।

তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের কোন হুদিস বা কোন প্রকার যোগযোগ নেতাকর্মীদের অব্যাহত না রাখার ফলে তার উপর তেক্ত বিরুক্ত হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালামকে নয়া নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের বলয়ের রূপরেখা করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনি। যেটা সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনি তার ফেইসবুক ওয়ালে কায়সারকে নিয়ে টেলিগ্রাম গ্রুপের একটি কথাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ান সোহাগ তার পর থেকেই একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করতে তৎপর ছিলেন।

অপরদিকে এই সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনির প্রচেষ্টায় সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালামকে নেতৃত্ব রেখে সোনাগাঁয়ে নয়া বলয়ের সূচনা করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন এর আগেই সোহাগ রনি কায়সারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে তার রাজনৈতিক অবস্থানের জানান দিয়ে দেন।

ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের নেতারা আত্মগোপনে থেকে এবং ঢাকায় কোন স্থানে বসে নয়া বলয়ের প্রচেষ্টার জন্য মাহফুজুর রহমান কালামকে প্রধান্য দিয়ে মিটিং করেছেন। আর এই মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নয়া নিয়ন্ত্রক হবেন কালাম। আগামীতে তার নেতৃত্ব মেনেই রাজনীতি করবেন সোনারগাঁয়ে এসকল নেতারা।

অপরদিকে ফতুল্লা থানার আওয়ামীলীগের নেতা মীর সোহেল আলী এবং কুতুবপুরের মীর হোসেন মীরু তাদের নেতৃত্বে একটি টেলিগ্রামে গ্রুপের মিলাদ মাহফিল বা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক  ঘটনার ছক আঁকেন সোহেল-মীরুর নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ। টেলিগ্রাম গ্রুপের বিভিন্ন মেসেজের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে এসকল নেতারা দুঃসময়কে কাজ লাগিয়ে ফতুল্লাতে আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রক সাঁজতে চাচ্ছেন। তাই বলা চলে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হয়ে গিয়েছে টেলিগ্রাম।