নির্যাতিত-ত্যাগীদের বিবেচনায় নিলে আমি অবশ্যই মূল্যায়িত হবো : এড. টিপু

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

নির্যাতিত-ত্যাগীদের বিবেচনায় নিলে আমি অবশ্যই মূল্যায়িত হবো : এড. টিপু
গত ১৬ বছর দলের দূসময়ে নির্যাতিত-নিপীড়িত ও ত্যাগীদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের বিবেচনায় রাখলে আমি আশাবাদী দল আমাকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মূল্যায়ন করবে। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে সময়ে আমাকে মহানগর বিএনপির দায়িত্ব দেওয়ার পর দলের পক্ষে কাজ করতে কতটুকু নির্যাতনের শিকার হয়েছি, কতটুকু দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি তা নারায়ণগঞ্জবাসী তথা দলের নেতাকর্মী সকলেই অবগত রয়েছে।গতকাল (১২ আগষ্ট) যুগের চিন্তার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার ৪৫ বছরের রাজনীতিতে সরকারি দল থাকাকালীন উন্নয়নের পক্ষে ও বিরোধী দল থাকাকালীন আন্দোলন সংগ্রামসহ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সর্বদা মাঠে কাজ করেছি। সেই সকল বিষয় বিবেচনা করে ত্যাগী, নির্যাতিত, নিপীড়িত লোকদের যদি তারা গুরত্ব দেন তাহলে তারা যাচাই-বাছাই করেই মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আর আমরা বিভিন্ন জায়গায় ত্যাগ ও নির্যাতনের কথা বললে ও আমরা সকলেই অবগত আছি তারেক রহমান, খালেদা জিয়াসহ পুরো জিয়ার পরিবারের থেকে বেশি নির্যাতিত কেউ নেই।
যাকে ঘিরে এই নির্যাতিত ত্যাগী পরিবার, কোন শিল্পপতিকে মূল্যায়ন করবে তা আমি বিশ^াসই করি না। বর্তমানে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিসহ দলের বাহিরে থেকে যারা মনোনয়ন চাইছেন তারা দল থেকে মনোনয়ন না পেলে আবারো তাদের ব্যবসায় মনযোগী হয়ে পরবেন, দলের কথা তাদের মনে থাকবে না। আর আমরা যারা রাজনীতি করি আমরা মনোনয়ন পেলে বা না পেলেও দলের পাশে থাকবো দলের পাশে থেকেই মাঠে কাজ করবো এবং রাজনীতি করবো। আর আমরা আশাবাদী তারেক রহমান ও চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ত্যাগীদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দিবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমানত হিসেবে আমাকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের যে দায়িত্ব দিয়েছে। তার পর থেকে সংগঠনটি কোথায় ছিলো, আর এখন কোথায় আছে। তা ছাড়া দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে সর্বদা কাজ করে সংগঠনটিকে কতটা শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছি। তা নারায়ণগঞ্জবাসী, বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরাসহ আমার অবিভাবক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিচার-বিশ্লেষন করবে।
তা ছাড়া বিএনপি একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই দলটি সর্বদা জনগণের কথা ও তাদের আশা আকাঙ্কার প্রতীক হিসেবে কাজ করেছে এবং আগামীতে করবে। তা ছাড়া গত ৫ আগষ্ট গণঅভুন্থানের পর বিএনপি কিছুটা হলে ও সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। আর বর্তমানে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আগামী দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন চাইবেন কাকে দেওয়া হবে তা দলের হাইকমান্ড বুঝবেন। কিন্তু যারা রাতে বিএনপি দিনে আওয়ামী লীগের দোসর ও গডফাদার শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানর দোসর হয়ে বন্দরে সাধারণ মানুষকে নির্যাতত-নীপিড়িত করেছে, নিজের এলাকার মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিলেন তারা যদি মনোনয়ন চায়, তাদেরকে জনগণ দাঁত ভাঙা জবাব দিবে। আর যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে ভূমিদস্যূতাসহ নানান অপকর্ম বন্দর জুড়ে চালিয়েছে তাদেরকে জনগণ কখনো মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেকে বিএনপি থেকে বহিস্কার হয়ে ও নির্বাচনের নামে মাথা নাড়া দিয়ে উঠতে চায়, কোন নির্বাচন এলেই তারা সেটাকে কেনা-বেচা শুরু করে এবং প্রকাশ্যে ওসমানদের দালাল ছিলো। দলের দূসময়ে যিনি বাসায় ছিলেন তার সাথে থাকা বিএনপি মনা লোকদের মাঠে নামতে দেয়নি তারা যদি নির্বাচনের নামে মাঠে সক্রিয় হতে শুরু করবে তাহলে বুঝতে হবে ভূতের মুখে রাম-রাম, তারা দলের স্বার্থে বা দেশের স্বার্থে নয় নিজেদের স্বার্থেই কোন একজনের পক্ষ নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি যদি জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পাই তাহলে সর্ব প্রথম নারায়ণগঞ্জে গডফাদারদের হাতে তৈরি করা সেই চাঁদাবাজি, মাদক সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সেগুলো প্রথমে নিরসন করে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ থেকে বের করে শান্তির জনপদে পরিণত করবো। এর পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের জনগণের আশা আকঙ্খার মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসকারি বিশ^বিদ্যালয়, কারিগরি প্রতিষ্ঠান, কেউ হার্ট এট্যাক করলে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা, বার্ন ইউনিটি নারায়ণগঞ্জবাসীর এই সকল স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাবো। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা স্বপ্ন দেখিয়ে যা বাস্তবায়ন করতে পারেনি আমি তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।