ফতুল্লা থানা বিএনপির চার ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে উত্তেজনা

সাইমুন ইসলাম
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
-copy-68a84e302753d.jpg)
ফতুল্লা থানা বিএনপির চার ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে উত্তেজনা
# বিল্লাল-রতন-সুমনকে অব্যাহতি
# পলাশ, আলমগীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন চারটি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ইতিমধ্যেই তিনজন শীর্ষ নেতাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে এবং আরও দুইজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল ২১ আগস্ট ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়ার যৌথ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনকে, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতনকে ও এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনকে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ৭ জুন ২০২৩ থেকে তারা সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকলেও জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর থেকে জেলা ও থানা বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে তারা অংশ নেননি। এ বিষয়ে পূর্বে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তারা জবাব দেননি। ফলে দলীয় গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে। একই সঙ্গে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
তাদের নোটিশে বলা হয়, সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকলেও তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না। যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, আগে কুতুবপুর, কাশিপুর ও এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেননি। এজন্য গঠনতান্ত্রিকভাবে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তারা চাইলে থানা বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া বলেন, দলের চেইন অব কমান্ড না মেনে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পরও তারা জবাব না দেয়ায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা যুগের চিন্তা প্রতিবেদককে বলেন, আসলে বিএনপির গঠনতন্ত্র এ ধরনের অব্যাহতি সমর্থন করে কিনা তা জানা উচিত। তাছাড়া যেসব কর্মসূচির অভিযোগ আনা হচ্ছে সেখানে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককেই প্রধান অতিথি করে অনুষ্ঠান হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমরা এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।