Logo
Logo
×

রাজনীতি

প্রতিহিংসায় আগ্রাসী মনোভাবে ফতুল্লা থানা বিএনপি

Icon

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রতিহিংসায় আগ্রাসী মনোভাবে ফতুল্লা থানা বিএনপি

প্রতিহিংসায় আগ্রাসী মনোভাবে ফতুল্লা থানা বিএনপি

Swapno

# বিনা কারণে এমন অব্যাহতি দেয়ায় বিস্মিত তৃণমূল নেতাকর্মীরা


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ফতুল্লা থানার আওয়াতাধীন ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দেওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ,ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক  বারী ভূইয়ার কাছ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে এমনটিই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।


মাস খানেক আগে এনায়েত নগর ও কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য কার্যক্রমের দুটি অনুষ্ঠানের জেলার আহবায়ক ও থানার নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমেই এটি খুব ভালভাবেই ফুটে উঠেছে। এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, যারা আলাদাভাবে প্রেগ্রাম করছেন এমনকি আমাদের এই প্রেগ্রামে অংশগ্রহন করছেন তাদেরকে কমিটিতে রাখা হবে না। যে কোন সময় ভেঙে দেওয়া হতে পারে। এমনকি ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুও একই সুর টেনেছিলেন।


আর সেই ধারণা বাস্তবে রূপ নেয় ফতুল্লা থানা বিএনপির  সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রারী ভূইয়ার স্বাক্ষরিত প্যাডে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির করতেই এক বিবৃতির মাধ্যমে  গত ২১ আগষ্ট সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, এবং ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ ও সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।


তবে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকের মধ্যে বাকি ৬ জন এখনো গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে  তারা তাদের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। ফতুল্লা থানা সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রারী ভূইয়ার আগ্রসী মনোভাবেব বলি হয়েছেন ফতুল্লার চারটি ইউনিয়নের নেতারা এমনটাই মত তৃণমূলের।


জানা যায়, থানা বিএনপি যাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করেছে তারা প্রত্যেকেই বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জে সামনের সারিতে দেখা গেছে। কিন্ত ব্যক্তি মতামত এবং দলের ভিতর  আলাদাভাবে সভা সমাবেশ করার কারণেই মূলত তাদের অব্যাহতি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল এবং নিজেদের বলয়ের লোকদের কমিটিতে আনতেই এমন সিদ্ধান্ত। আর এমন সময়ে এই ধরণের সিদ্ধান্ত দলের জন্য কতটা সুফল বয়ে আনবে এইটাই মূলত দেখার বিষয়।


জানা যায়, ২০২৩ সালের ৮ ই জুন কুতুবপুর ইউনিয়ন নয়ামাটি এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপির কার্যালয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারন সম্পাদক বারী ভূইয়ার সাক্ষরিত বিএনপির প্যাডে  কুতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েত নগর ও কাশিপুর ইউনিয়নের কমিটির অনুমোদন  দেওয়া হয়। এতে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, কুতুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুমন মাহাবুব, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম রতন এবং কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করে প্রতিটি ইউনিয়নে ৭১ সদস্য করে এই কমিটি দেওয়া হয়।


তবে এই কমিটি দেওয়ার দুই বছরের মধ্যে বিভিন্্ন সময় বিভিন্ন গ্রুপিং দেখা গিয়েছে এতে করে কোন কোন ইউনিয়নের সভাপতি এক গ্রুপে আবার ওই একই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরেক বলয়ে। বিশেষ কমিটির দেওয়ার সময়ে সবাই ফতুল্লা থানা বিএনপি ও জেলা নেতৃবৃন্দ প্রথমে একই বলয়ে থাকলেও আস্তে আস্তে কেউ কেউ অন্য বলয়ে সরে গেছেন। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিন এখনো এই ৪ টি ইউনিয়ন কমিটির বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দ তার সাথেই আছেন। তবে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন তারা দুজন বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদের বলয়ে থেকে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন