Logo
Logo
×

রাজনীতি

আজ না.গঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা বিষয়ক শুনানি

বন্দরকে দ্বিখণ্ডিত না করার প্রত্যাশা

Icon

লতিফ রানা

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম

বন্দরকে দ্বিখণ্ডিত না করার প্রত্যাশা

বন্দরকে দ্বিখণ্ডিত না করার প্রত্যাশা

Swapno

# নতুন সিদ্ধান্ত শহর এবং বন্দর এলাকার উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটবে : এড. সাখাওয়াত
# বন্দরবাসীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক বড় ক্ষতি বয়ে আনবে : মাসুদুজ্জামান
# অবহেলিত এই বন্দরবাসি আরও ভয়ঙ্কর অবহেলার শিকার হবে : মুন্নী সরদার

 
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার তিনটি আসনের সীমানা নিয়ে আপত্তির উপর আজ মঙ্গলবার শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে নারায়ণগঞ্জ-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আপত্তির বিষয়ে এই শুনানি গ্রহণ করবেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে নতুন এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে ঘোর বিরোধিতা করছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিশেষ করে বন্দর এলাকার জনগণ। বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি ও ক্ষোভ জানিয়েছেন আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণসহ স্থানীয় সর্বশ্রেণির মানুষ। তাদের মতে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নতুন সীমানা বাস্তবায়ন হলে অবহেলিত বন্দর উপজেলার মানুষ আরও বেশি বৈষম্যের শিকার হবেন। তাই শুনানিতে নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ তথা বন্দরবাসীর হৃদয়ের দাবিকে উপেক্ষা করবে না বলে মনে করেন এখানকার সাধারণ জনগণ।
 
এরই মধ্যে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন সচেতন মহলসহ সর্ব স্তরের সাধারণ জনগণ নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তাবকে বন্দরবাসীর অস্তিত্বে আঘাত করা বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বছরের পর বছর অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার বন্দরবাসীকে নিয়ে আর কোন নতুন বিভক্তি না করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে বন্দরবাসী সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি বৈশম্যের শিকার বলেও মনে করেন এখানকার জনগণ। রাজনৈতিক বেড়াজালে বেশিরভাগ সময়ই জনপ্রতিনিধি শহরের নির্বাচিত হলেও অন্তত ভোটধিক্যের কারণে বন্দরবাসীকে কিছুটা হলেও মূল্যায়ন পায়। কিন্তু বন্দরকে কেটে দুই টুকরো করা হলে বন্দরবাসী সেই অধিকার থেকেও বঞ্চিত হবে বলে তাদের দাবি। তাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়কে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবনের অনুরোধ জানিয়ে বন্দরবাসী জানান, শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, বরং শীতলক্ষ্যা নদী বন্দরকে কেন্দ্র করে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্থনীতি এবং উন্নয়নের সাথে বন্দরের নাম জড়িত। অথচ ঐতিহাসিক সেই নদীর বিভক্তির কারণে শহর সংলগ্ন হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের একটি অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার এই বন্দর। যা স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ হয়ে এসেছে। তাই বন্দরকে আর কোন বিভক্তি না করার জন্য অনুরোধ জানান বন্দরবাসী।
 
বন্দরকে দুইভাগে বিভক্ত করে দুটি আসনের প্রস্তাবনার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বয়ক মুন্নি সরদার যুগের চিন্তাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সীমানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে নতুন প্রস্তাব ঘোষণা করেছে আমরা তাতে দ্বিমত পোষণ করছি। এই শুনানিতে নির্বাচন কমিশন এখানকার জনগণের আকুতিকে উপেক্ষা করবেন না বলেই আমরা আশা প্রকাশ করবো। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে বন্দরবাসী এমনিতেই বৈষম্যের শিকার। তার উপর এই ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের বন্দরবাসীর মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি হবে এবং সেই বৈষম্যের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। অবহেলিত এই বন্দরবাসি আরও ভয়ঙ্কর অবহেলার শিকার হবে। তাই আমরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি। আমরা চাই, এই আসন হয়তো আগের সীমানায় ফিরিয়ে আনতে হবে অথবা শুধু বন্দরকে নিয়ে আলাদা নতুন একটি আসন ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু বন্দরকে বিভক্তি করা কোন অবস্থাতেই চলবে না। তিনি বলেন, এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভোটারদের সিংহভাগই যখন এই বন্দর এলাকার ছিল, তখন প্রার্থীরা শহরের হলেও এই ভোটকে কেন্দ্র করে হলেও অন্ততপক্ষে নির্বাচনের সময় তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে আসতো। এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে তারা বন্দরবাসিকে কিছুটা সুবিধা হলেও দেওয়ার চেষ্টা করতো। কিন্তু এখন যদি এই বিভক্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে যেহেতু বন্দরের ভোট ছাড়াই তারা নির্বাচিত হতে পারবে, তাই তাদের নির্বাচনের সময়ও আর বন্দরে আসার প্রয়োজন হবে না। এর ফলে বন্দরবাসির বৈষম্যের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান দৈনিক যুুগের চিন্তাকে বলেন, এই শুনানিতে নির্বাচনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এখানকার সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে তারা আগের সীমানাকেই বহাল রাখবেন। যদি এই নতুন প্রস্তাবিত সীমানা বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে একদিকে যেমন বন্দর এলাকাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হবে, অন্যদিকে শহরের থানাগুলোর মধ্যেও বিভক্তি সৃষ্টি হবে। এতে করে শহর এবং বন্দর উভয় এলাকার উন্নয়নেই বিঘ্ন ঘটবে। এত বছর যাবত যারা একত্রিত হয়ে মিলেমিশে কাজ করে অভ্যস্ত হয়েছেন তাদের নতুন পরিবেশ তৈরি করে নতুনভাবে শুরু করতে হবে যার ফলে এখানকার উন্নয়ন তরান্বিত না হয়ে বরং বাধাগ্রস্ত হবে।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী, বিএনপি নেতা এবং মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, বন্দর একটি শিল্পপ্রধান এবং জনবহুল এলাকা। এখন বন্দরকে দুইটি সংসদীয় আসনে বিভক্ত করা হলে এখানকার পুরো উন্নয়ন পরিকল্পনা দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়বে। একই অঞ্চলের মানুষ দুই ভিন্ন আসনের প্রতিনিধির কাছে দাবি জানাতে বাধ্য হবে, যার ফলে উন্নয়ন কার্যক্রমে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এর ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিভক্তি এখানকার উন্নয়নের ধারাকে থামিয়ে দিয়ে বন্দরবাসীকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। দীর্ঘমেয়াদে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ। এই সিদ্ধান্ত কেবল রাজনৈতিকভাবে নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকেও এক বড় ক্ষতি বয়ে আনবে। যা শুধু বন্দরবাসীর জন্য না, এই সিদ্ধান্ত পুরো নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যেও প্রভাব ফেলবে।
 
আজ তিনটি আসনের শুনানিতে অংশ নিবেন নারায়ণগঞ্জের অন্তত ১৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা।  গত ৩০ জুলাই ইসি প্রকাশিত প্রস্তাবিত খসড়ায় নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসন— ৩, ৪ ও ৫-এর সীমানা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়। ইসির সুপারিশ অনুযায়ী, সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বন্দর উপজেলা। এতে সোনারগাঁওয়ের দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার পাশাপাশি বন্দরের পাঁচটি ইউনিয়নও যুক্ত হবে। এ পাঁচটি ইউনিয়ন বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতায় রয়েছে। নতুন খসড়ায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে বাদ পড়ছে সদর উপজেলার গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়ন। তবে যুক্ত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের নয়টি ওয়ার্ড। ইসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সবগুলো ২৭টি ওয়ার্ডকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন গঠিত হবে সদর উপজেলার ফতুল্লা, কাশিপুর, কুতুবপুর, বক্তাবলী ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন এবং নাসিকের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে। তবে নতুন খসড়ায় এ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে সদর উপজেলার গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়ন। এর ফলে সিদ্ধিরগঞ্জের নয়টি ওয়ার্ড বাদ যাবে, যা যাবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতায়। খসড়া প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক নেতারা ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি জানানোর সুযোগ পান।  নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা বাতিলের পক্ষে আবেদন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।   জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন ঘনিষ্ঠ সোনারগাঁয়ের যুবদল নেতা আশরাফুল আলম আশরাফ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম ও যুবদল নেতা মোহাম্মদ শাহ আলম মুকুল সোনারগাঁও উপজেলা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন এবং বন্দর উপজেলা ও  নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন গঠনের আবেদন করেছেন।  মো. দেলোয়ার হোসেন ও আনিস সিকদার নামের দুই ব্যক্তি সোনারগাঁও উপজেলা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন এবং বন্দর উপজেলা ও  নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন গঠনের আবেদন করেছেন। ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন ও ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার রাফসানজানী খান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনার পক্ষে আবেদন করেছেন।  নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম, তার মেয়ে এড. সামছুন নুর বাঁধন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ ও আমরা বন্দরবাসী সংগঠনের সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদ বন্দর থানাকে দুইটি আলাদা সংসদীয় আসনে বিভক্ত না করে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় আসনের সীমানা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখার পক্ষে আবেদন করেন। সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ প্রস্তাবনার বিপক্ষে বন্দর উপজেলাকে নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় আসনে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেন।  এবি পার্টির ঢাকা বিভাগের সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বেপারী নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আবেদন করেন।  মো.নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সোনারগাঁও উপজেলা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন এবং বন্দর উপজেলা ও  নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১ থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন গঠনের আবেদন।  নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মোহাম্মদ আলম খান বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার ২ ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন।  মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. মো.শরীফুল ইসলাম শিপলু ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের ছেলে ব্যারিস্টার রিদওয়ানুর রহমান রিকু বন্দর উপজেলাকে অখণ্ড রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন।  মঙ্গলবারের শুনানিতে এসব প্রস্তাব ও আপত্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের নেতারা মনে করছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্থানীয় জনমত ও ভৌগোলিক বাস্তবতা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা জরুরি। শুনানির পর কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আসতে পারে বড় ধরনের পরিবর্তন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন