-copy-68b01fc4af1dc.jpg)
নেতৃত্ব পরিবর্তনে জেলা বিএনপির নেই উদ্যোগ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নবগঠিত কমিটি প্রকাশের পর প্রথমেই আলোচনায় আসে মেয়াদোত্তীর্ণ থানা/উপজেলার কমিটির নেতৃত্ব পরিবর্তনের। তবে জেলা বিএনপির বিভিন্ন সভায় জেলা বিএনপির আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা/উপজেলার কমিটির নেতৃত্ব পরিবর্তনের আলোচনা উত্থাপিত হলেও সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। যার কারণে জেলা বিএনপির আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা/উপজেলার কমিটির নেতৃত্বেরও পরিবর্তন ঘটছে না। তবে জেলা বিএনপির বর্তমান পূর্ণাঙ্গ কমিটির একজন নেতার দাবি,জেলা বিএনপির বর্তমান সাইনিং পাওয়ারে থাকা নেতারা সকলেই আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী। তাছাড়া জেলা বিএনপির বিভিন্ন আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে তাদের রাজনৈতিক বন্ধুত্ব পূর্ণ সস্পর্কও রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশারী থানা/উপজেলার কমিটি তারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন সেই সাথে জেলার নেতারাও মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন বর্তমান থানা/উপজেলার কমিটি তাদের নির্বাচনী পথ সুগম হওয়ায় তাদেরও মাথা ব্যাথা থাকছে না জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে।
সূত্র বলছে, বর্তমান জেলা বিএনপির কমিটির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দুই যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে মাশুকুল ইসলাম রাজীবও অপর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে দিপু ভূইয়া মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হুমায়ন কবির সদস্য বাছির উদ্দিন বাচ্চু উভয়ই বর্তমান জেলা বিএনপিতে রয়েছেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ এলাকাটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং ফতুল্লা থানা নিয়ে গঠন হওয়ায় তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন তিনিও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হবেন এমনটা ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বে থাকা সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক এড. বারী ভূইয়া গিয়াসউদ্দিনের বলয় ত্যাগ করেন। বর্তমান জেলা কমিটির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, মাশুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির মূলধারা সাথে ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি করছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সাধারণ সম্পাদক এড. বারী ভূইয়া। অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটিও গিয়াসউদ্দিনই দিয়েছিলেন এবং তার নিয়ন্ত্রণে ছিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম কমিটিতে এখনো অক্ষত থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বহিষ্কার হয়েছেন তার পদে ভারপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন আবুল হোসেন। যার ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির জন্য জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির নিকট থানা বিএনপির অনেক নেতাই কমিটি বিলুপ্ত করে নবগঠিত কমিটি গঠনের জন্য দাবি রাখেন।
তাছাড়া আড়াইহাজার থানা বিএনপির কমিটি নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কারণ বিএনপির দুঃসময়ে থানা বিএনপির পাশে নজরুল ইসলাম আজাদ থাকায় তার নেতৃত্বকে মেনে নিয়ে থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনীতি করছেন। যার কারণে আড়াইহাজার বিএনপির কমিটি নিয়ে কোন প্রকার মন্তব্য নেই। সেই সাথে নজরুল ইসলাম আজাদও আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান কমিটিকে টিকিয়ে রাখতে চায়। সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির কমিটি খোদ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানই নিয়ন্ত্রণ করছেন। কারণ তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী যার কারণে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনকে নিয়নস্ত্রণ করছেন। এছাড়া জেলা বিএনপির সাথে রয়েছে ব্যাপক সখ্যতা। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অর্ন্তগত সকল থানা/উপজেলার কমিটির পরিবর্তন হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিভেচিত হচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচন। কারণ থানা/উপজেলা কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দলীয় সর্ববৃহৎ সমর্থন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষে থাকে। যাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারাও তাদের নির্বাচনী স্বার্থে এবং বর্তমান থানা/উপজেলা কমিটি নিয়ন্ত্রণ করা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের স্বার্থে বর্তমান থানা/উপজেলার কমিটি পরিবর্তন করছে না।