জেলা জুড়ে ইসলামী দলের নেতারা পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
-copy-68b2f35f15061.jpg)
জেলা জুড়ে ইসলামী দলের নেতারা পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন
নারায়নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে ইসলামী বিভিন্ন দলের নেতারা পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ইসলামীদলগুলোর থেকে প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে ইসলামীদলের অগ্রভাগের নেতারাই পূর্বে থেকেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেয়র পদপ্রার্থী হওয়া থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। যার ফলে জেলা জুড়ে ইতিমধ্যেই ইসলামীদলগুলোর নেতা হিসেবে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন, সেই সাথে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বাজিমাত করতে পারেন।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ এই চারটি দল থেকে জেলাজুড়ে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন ইসলামী দলের নেতারা তারা হচ্ছেন- জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বর্তমান আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার,খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবি এম সিরাজুল ইসলাম মামুন,ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জমিয়তে ওলামায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মনির হোসেন কাশেমী,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। এরমধ্যে সকলেই তাদের দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমেদ: নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে সকল রাজনৈতিক দলে একজন স্বজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় নারায়ণগঞ্জে বহু আগে থেকেই জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত মাওলানা মঈনুউদ্দিন আহমেদ। এদিকে তাঁকে জামায়াত ইসলাম থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনেও দাড়ি পাল্লার প্রার্থী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায়ও তাদের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বর্তমান আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার:নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ধারাবাহিক ভাবে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা জনদুর্ভোগ নিয়ে কথা বলছেন এবং জনদুর্ভোগ লাগবে কাজ করায় নির্বাচনী এলাকায় তার গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়ায় দেশজুড়েও তার পরিচিতি রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ: নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র নির্বাচনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে মুফতি মাসুম বিল্লাহ। তাছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জুলাইয়ের ছাত্র জনতার আন্দোলনে সামনের সাড়ি থেকে ইসলামী আন্দোলনের হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ শহরের নাগরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে কাজ করছেন। খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবি এম সিরাজুল ইসলাম মামুন: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পরিচিতি অর্জন করে। এছাড়া শহরজুড়ে তিনি একজন গুনী শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। তাছাড়া খেলাফত মজলিসের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেয়ার ফলে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মনোনীত করা হয়েছে। জমিয়তে ওলামায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মনির হোসেন কাশেমী: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তার দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে ২০১৮সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কুখ্যাত সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যার ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তার দল থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিএনপির সাথে তার দলের ফের জোট হলে জোটের চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন কাশেমী এমনটাই প্রত্যাশা করছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনসাধারণ। জমিয়তে ওলামায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান: বহু আগেই ফেরদাউসুর রহমান নারায়ণগঞ্জের গন্ডি পেড়িয়ে দেশজুড়ে একজন ইসলামী বক্তা হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে। সেই সাথে আওয়ামীলীগের শাসন আমলেই ইসলামী দলের একজন নেতা হিসেবে তাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য রেখে প্রতিবাদ করতেন। যার কারণে তাঁকে এবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে তার দল থেকে মনোনীত প্রার্থী করেছেন।