-copy-68b449352caf5.jpg)
গণঅধিকারের প্রতিবাদে গর্তে জাপা
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক নুর মারাত্মক আহতের পর তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল এবং সড়ক অবরোধ করে নারায়ণগঞ্জের রাজপথকে উত্তাল করে তুলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। ঘটনার পরদিনও প্রতিবাদ মিছিলসহ ফের নারায়ণগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র চাষাড়ায় সড়ক অবরোধ করে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির বৃহৎ ঘাঁটি থাকলেও এবং বেশীর ভাগ সমর্থকরা নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ওসমান পরিবারের আদর্শে বিশ^াসী হওয়ায় স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জুলাইয়ের ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলায় অধিকাংশ আসামী হয়ে প্রকাশ্যে ছিলেন। কিন্তুজাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক নুর মারাত্মক আহতের পর গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের প্রতিবাদে ফের গর্তে লুকিয়েছে জাপা নেতারা।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ছিলেন আওয়ামীলীগের কুখ্যাত এমপি শামীম ওসমান বন্ধু জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ছিলেন আওয়ামীলীগের কুখ্যাত এমপি শামীম ওসমান মেজু ভাই জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের পত্নী জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য পারভীন ওসমান। এরমধ্যে সকলে গাঁ ডাকা দিয়ে থাকলেও প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জাপার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন লিয়াকত হোসেন খোকা। সেই সাথে গাঁ ডাকা দিয়ে থাকা জাপার কুখ্যাত সমর্থকদেরও তিনি প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইন করিয়ে ফের জাপার রাজনীতিকে নারায়ণগঞ্জে উজ্জেবীত করতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি খোকা নিজেও মহাসচিব হওয়ার স্বপ্্েন বিভোর ছিলেন। কিন্তু মহাসচিব হওয়ার স্বপ্ন থেকে ছিঁটকে গিয়ে জাপার জাপার চেয়ারম্যান জিএম চেয়ারম্যানের সঙ্গ ত্যাগ করেন। সেই সাথে জাপার অপর একটি অংশে যোগ দিয়ে তিনি রাজনীতি করছেন।
কিন্তু জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক নুর মারাত্মক আহতের ঘটনা সংঘর্ষে টানা দুবার জাপা কার্যালয়ে হামলা হলেও এবিষয় খোকা কোন প্রকার মতবাদ প্রকাশ করেননি। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাপার সমর্থকরাও কোন প্রকার প্রতিবাদ রাজপধে নামেনি। কারণ নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ জাপা নেতারা আওয়ামীলীগের দোসর এবং দুধর্ষ হওয়া গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সাথে রাজপথে মোকাবিলার সাহসিকতা দেখাচ্ছে না। কারণ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল হক নুর মারাত্মক আহতের পর তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল এবং সড়ক অবরোধ করে নারায়ণগঞ্জের রাজপথকে উত্তাল করে তুলেন গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ ও সাধারন সম্পাদক আক্তার হোসেন মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন (রাহুল আরফান)। তাদের বিপরীতি জেলা জাপার সভাপতি সানাউল্লাহ সানু,সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম ইকবাল,মহনগরের সভাপতি দুলাল,মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আফজাল কেউ গণঅধিকারের বিপরীতে কোন প্রকার প্রতিবাদ জানানোর সাহসিকাতা দেখাচ্ছে সেই সাথে প্রকাশ্যে থাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সক্রিয়তা জাহির করতে চাওয়া নেতা নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রুপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি শাহ আলম সবুজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু তারাও কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না উল্টো গাঁ ডাকা দিয়েছেন। এতে করে বলা চলে গণঅধিকারের প্রতিবাদে উত্তালে গর্তে নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টি।