Logo
Logo
×

রাজনীতি

প্রতিটি আসনে কমিটি নিয়ে প্রার্থীদের দ্বন্দ্ব

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রতিটি আসনে কমিটি  নিয়ে প্রার্থীদের দ্বন্দ্ব

প্রতিটি আসনে কমিটি নিয়ে প্রার্থীদের দ্বন্দ্ব

Swapno

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩১দফা নিয়ে প্রচারে মরিয়া বিএনপি। নির্বাচনের সম্ভাব্য হওয়ায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ পাঁচটি আসনেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পড়েছে হিড়িক সেই দলীয় কোন্দল দলীয় কমিটি নিয়ে প্রতিটি আসনেই বেড়েছে দ্বন্দ্ব। যেমন: নির্বাচনের পূর্বেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বলয় ভিত্তিক রাজনীতির প্রভাব এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে পুঁজি করে নির্বাচনী কার্যক্রম। এসকল বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জাড়াচ্ছে বিএনপি।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরোধীতা এবং বলয় ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার মনোনয়ন প্রত্যাশাকে কেন্দ্র করে বিএনপির গ্রুপিং ঠেকেছে চরমে। যার ফলে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে অনেকটা প্রভাব ফেলছে। যেটা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক গতি দেখলেই বুঝা যায়। এছাড়া জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বে থাকা আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সাথে আসন ভিত্তিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে বিভেদ বা বলয় ভিত্তিক পৃথক রাজনীতিতে থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যান্য আসনের প্রার্থীরা সেভাবেই বিচার বিশ্লেষণ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে সার্পোট করছেন। প্রতিটি আসনের উপজেলা/থানা সেকল আসনের প্রার্থীদের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির রাজনীতি করছেন। কিন্তু জেলা বিএনপিকে মানছে না। এছাড়া থানা/উপজেলার কমিটি ভাঙ্গনের ক্ষেত্রেও আসনভিত্তিক প্রার্থীদের বণিবনা রয়েছে। যার কারণে জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির উপর বল প্রয়োগ করছেন।

সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু। তারা প্রত্যেকেই পৃথক বলয় প্রতিষ্ঠা করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপিতে। কাজী মনিরুজ্জামান বলয় বর্তমান জেলা বিএনপির কমিটিকে মেনে নিতে না পেরে জেলা বিএনপির বিরোধীতা এবং বর্তমান রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটিকে ভাঙতে বল প্রয়োগ করছেন। অপরদিকে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ার বর্তমান জেলা বিএনপিকে ব্যাপকভাবে সঙ্গ দিচ্ছেন। তাছাড়া বর্তমান রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মেয়াদত্তীর্ণ কমিটিকে টিকিয়ে রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ,সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর,বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-২ এর কোন মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান জেলা বিএনপির কমিটিকে সঙ্গ দিচ্ছেন না। কিন্তু আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি মেয়াদত্তীর্ণ হওয়ার জেলা বিএনপির সভায় ভাঙ্গনের আলোচনা থাকলেও ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ের উপজেলা কমিটি হওয়া আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি ভাঙ্গনে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা কোন নেতা বিরোধীতা করছেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং তার বাহিরে সাবেক সাংসদ রেজাউল করিমসহ আরো অনেক প্রার্থী থাকলেও অন্য কোন মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলার কমিটি সঙ্গ বা জেলা কমিটি নিয়ে ভাবছে না। কিন্তুসোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান পুরোদস্তরে জেলা বিএনপির কমিটিকে সঙ্গ দিচ্ছেন। পাশাপাশি সোনারগাঁ উপজেলা মেয়াদত্তীর্ণ কমিটি টিকিয়ে রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন,শাহ আলম,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। এরমধ্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে পুঁজি করে ,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাচনী কার্যক্রম করছেন। এদিকে এই আসনের গুরুত্বপূর্ণ থানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা,ফতুল্লা থানা জেলা বিএনপিকে প্রধান্য দিয়ে চলছেন ফতুল্লা থানা বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু এবং সদস্য সচিব বারি ভূইয়া। অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির অকেজু কমিটি সদস্য সচিব বহিষ্কৃত হওয়ার পর আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলামের মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে।

যে কমিটি জেলা বিএনপি পুরোপুরি উপেক্ষা করে চলছে। যার ফলে জেলার বর্তমান নেতৃত্বে থাকা নেতারা জেলার সকল ইউনিটের মধ্যে সর্বপ্রথম সিদ্ধিরগঞ্জের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করতে চাচ্ছে। যে কমিটির বিরুদ্ধচারণে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলয় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলয় কোন ক্রমেই বর্তমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটিকে চাচ্ছে না। অপরদিকে ফতুল্লা থানায় মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলয় এবং শাহ আলম বলয় কোন ক্রমেই বর্তমান ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি মেনে নিতে চাচ্ছে না। এভাবেই জেলার প্রতি আসনেই দ্বন্দ্ব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। যেমন: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু,সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সাংসদ আবুল কালাম,শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান। কিন্তু বর্তমান মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে সাবেক সাংসদ আবুল কালাম বলয় শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান বলয়ের বিরোধী থাকলেও একই আসনের বিএনপির মনোয়ন প্রত্যাশী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ঐক্যবদ্ধ ভাবে মহানগর বিএনপির রাজনীতি করছেন। কিন্তু কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং বলয় ভিত্তিক গ্রুপিংয়ে একাধিক বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী একই আসনে হওয়ায় বাজিমাত করতে ইসলামীদল এনসিপিসহ বিএনপির সমমনাদলগুলো।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন