Logo
Logo
×

রাজনীতি

অপ্রতিরোধ্য গিয়াসউদ্দিন

Icon

লিমন দেওয়ান

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

অপ্রতিরোধ্য গিয়াসউদ্দিন

অপ্রতিরোধ্য গিয়াসউদ্দিন

Swapno
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একজন প্রবীন নেতা হিসেবে সুপরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। যিনি সত্যের পথে অনড় অবিচল থাকাকেই ধর্ম মনে করেন সেই গিয়াস উদ্দিন এখন বয়স বৃদ্ধি পেলেও সেদিকে পাত্তা না দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষে এবং দলের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে ৭১’র রণাঙ্গণে তার যেমন ভূমিকা ছিলো তেমনই বিএনপির দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে বিভিন্ন কায়দায়-কৌশলে মাঠে থেকে কাজ করেছেন এই গিয়াসউদ্দিন। এদিকে গতকাল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে হাজারো গাড়ি বহর নিয়ে একই দিনে সকাল-বিকাল ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁও তিনটি স্পটে শোডাউন দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন। তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ তার নির্বাচনী এলাকা পুরোটাই ঘুরে সাধারণ জনগণের সাথে দেখা ও তাদের দু:খ কষ্টের কথা ও শুনে এসেছেন এই গিয়াস উদ্দিন। এদিকে সকাল থেকেই হাজারো গাড়ি বহর নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরতে গিয়াসকে এলাকার সাধারণ মানুষ অনেকেই ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। তাছাড়া বিগত দিনে স্বৈরাচার সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রকাশ্যে তার বিরোধীতা করেছেন। বিভিন্নভাবে তাকে হেয় করতে নানা অপপ্রচার চালিয়েছেন।

কিন্তু দিন শেষে তারাই সকলেই ব্যর্থ হয়ে পরেন। পরবর্তীতে পট পরিবর্তনের পর বিগত দিনে সেই ওসমানদের পদ লেহনকারী ব্যক্তিরা বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। এদিকে চাঁদাবাজ, লুটপাটকারী, দখলবাজ, ব্যবসায়ী সংগঠনে ওসমান দালালরা বহাল এবং ওসমানদের দোসরদের বিপক্ষে বিগত দিনে যেমন শক্ত অবস্থানে ছিলেন তিনি বর্তমানে ও সেই অবস্থানেই রয়েছেন। যাকে ঘিরে বর্তমানে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন।  এদিকে নারায়ণগঞ্জের বহু লুটপাটকারী, দখলবাজ পদে থাকা বহু বিএনপি নেতাকর্মীদের গত ৫ আগষ্টের পর শোকজ ও বহিস্কার করেছিলেন এই সভাপতি। এদিকে পটপরিবর্তনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আগামী নির্বাচনী ভাবনা মাথায় রেখে ৪ ও ৩ আসন সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) এলাকায় একের পর এক সমাবেশে বিএনপিতে অনঐক্য থাকা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে একইভাবে তিনি তার নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এতে করে আগামী নির্বাচনের ভোটারদের মন জয় করার কাজটি তিনিই নারায়ণগঞ্জে সর্বপ্রথম করে যাচ্ছে।
 
জানা যায়,  গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব¡ গ্রহণের পর বিএনপির জেলা সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জনসমর্থন অর্জন করেছে। বিশেষ করে ফতুল্লা এলাকার ৫টি ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করার যে দাবি তিনি তুলেছেন সেটি বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এছাড়া ফতুল্লার বিস্তীর্ণ এলাকা বছরের পর বছর জলাবদ্ধতায় যে দুর্ভোগ জনসাধারণকে দিচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণের উদ্যোগও তিনি সর্বপ্রথম নিয়েছিলেন। জনগণের দুর্ভোগ সংশ্লিষ্ট এই দুটি সমস্যা সমাধানে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন, এছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়ে ছিলেন যে কাজ বর্তমানে জেলা প্রশাসকসহ বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ করছে। তা ছাড়া বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হাজারো গাড়ি বহর নিয়ে নারায়ণগঞ্জ চষে বেড়ানোর মাধ্যমে গিয়াস রাজনৈতিক বা নির্বাচনী দিক সব দিক দিয়েই জনগণের চোখে অনেকটাই এগিয়ে রইলো। দীর্ঘদিন পর গাড়ির ছাঁদ খুলে সেখান দিয়ে মাথা বেড় করে দাঁড়িয়ে পতকা হাতে নিয়ে নানা শ্লোগান প্রকম্পিত করেছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।

এ বিষয়ে সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন যুগের চিন্তাকে বলেন, ১৭ বছর বিএনপির আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্যদিয়ে সবচাইতে বেশি যারা ত্যাগ শিকার করেছেন, সবচাইতে বেশি নির্যাতন যারা বেশিভোগ করেছেন তারা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক। গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম, সকল নির্যাতন সহ্য করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি আমরা।

তিনি বলেন, আবার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য ১৭ বছর আন্দোলন করেছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে কিন্তু এখনো দেশে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত না দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম চলবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে ঘিরে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁও বিএনপিকে আমাকে দাওয়াত করেছিলেন। সেই দাওয়াতে আমি সকালে প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ যাই পরবর্তীতে ফতুল্লার নতুন কোর্ট হয়ে এনায়েতনগর ঘুরে, ইসদাইর, কুতুবপুর এলাকায় গাড়ি বহর নিয়ে শোডাউন শেষে আমরা আবার সিদ্ধিরগঞ্জ চলে আসি। পরবর্তীতে বিকালে সোনারগাঁও বিএনপির দাওয়াতে কাঁচপুর থেকে গাড়িবহর নিয়ে মেঘনা ঘুরে আবারো কাঁচপুর চলে আসি। তিনি বলেন, আমার এই প্রোগ্রাম সফল করতে আমার প্রান প্রিয় যে সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন