Logo
Logo
×

রাজনীতি

মান্নান-মামুন দ্বৈরথ শুরু

Icon

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

মান্নান-মামুন দ্বৈরথ শুরু

মান্নান-মামুন দ্বৈরথ শুরু

Swapno

অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) একীভূত হওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে মামুন মাহমুদ সোনারগাঁ থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বাসভবনে এসে কৌশলী বক্তব্য রেখে বলেছিলেন তিনি কোথায় নির্বাচন করবেন জানেন না। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের লোক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেই আছেন। এমন বক্তব্যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।

এখানে মোশারফের স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার কারণ ছিল স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের তথ্যমতে, মামুন মাহমুদ ছিলেন মোশারফকে সেনাারগাঁয়ে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম ব্যক্তিত্ব। সেসময় মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমনটা ঘোষণা করলে দুটানায় পড়তে হত। এদিকে হঠাৎ আচমকা গত ৮অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ)আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমনটা তার সমর্থকদের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ১৫ অক্টোর আনুষ্ঠানিক ভাবে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ)আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ার ঘোষণা দেন।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ)আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নানকে সমর্থনের মত ইঙ্গিত প্রকাশ করে মাস না ঘুড়তেই সেই মান্নানের রাজনৈতিক ডেরা সোনারগাঁয়ে হানা দিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের এক প্রকার রাজনৈতিক ভাবে তাদের ঘাড়ের বোঝা হতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এক মাস আগে সোনারগাঁয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বক্তব্যে বলেন, সোনারগাঁ থেকে অনেকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে; আপনি কি নারায়ণগঞ্জ-৩ এ নির্বাচন করবেন? আমি বলছি জানি না। আমি তো নারায়ণগঞ্জ-৪ এ আছি, ৪ এ থাকবো।

তাড়াহুড়োর কিছু নাই, যদি মান্নান ভাইকে নমিনেশন দেয় সিদ্বিরগঞ্জে আমি প্রথম সমাবেশ করতে সহযোগিতা করবো। আমি এমপি হতে আসি নাই। আমি চাই মান্নান ভাইও এমপি হোক। আপনারা মান্নান ভাইয়ের সাথে কাজ করেছেন এখনো করবেন। অন্য যারা প্রার্থীও আছে তাদের নেতাকর্মীকে এক টেবিলে ডাকবেন। এক মাস না ঘুড়তেই সোনারগাঁয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আমি সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ একীভূত হওয়ার পর এখন এই আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল; এখানে অসংখ্য যোগ্য নেতাকর্মী রয়েছেন। কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। দল যাকে নমিনেশন দেবে, আমরা সবাই মিলে তাকেই বিজয়ী করবো। সোনারগাঁওয়ে যে যার সঙ্গে আছেন, থাকুন এতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। সময় হলে দল যে নির্দেশ দেবে, সবাই সেটি মেনে চলবো। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাইকে নিয়ে তাকে বিজয়ী করবো।

দল অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তাকেও আমরা বিজয়ী করবো। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা বা বিভক্তি থাকবে না। আমি এখানে কোনো ব্লক বা বলয় তৈরি করতে আসিনি, দলকে খণ্ড করার জন্য আসিনি। আমি একাই গণসংযোগ করে জনগণের কাছে ভোট চাইবো। প্রয়োজনে আমার এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নেতাকর্মী নিয়ে এসে প্রচার প্রচারণা করব কিন্তু আমি কোন ব্লক সৃষ্টি করতে চাই না। তবে কেউ যদি আমার সাথে কাজ করতে চায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিষয়ে বলেন, এখনো সে সময় আসেনি দীর্ঘদিন যে এলাকায় আমি রাজনীতি করেছি মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছি সেখান থেকে সরে আসব আমি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করব। সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক মাসে আগে তিনি বললেন নারায়ণগঞ্জ-৩ এ নির্বাচন করবেন কিনা সেটা তিনি জানেন না এখন আবার তিনি বলেছেন তিনি সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এটাও বলেছেন তার ভাবতে ভাবতে ১মাসের মত চলে গিয়েছে। তবে তার রাজনৈতিক কৌশলী সিদ্ধান্তে ধরাশায়ী তথা বিপাকে পড়েছেন তার সাথে একই রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। সেই সাথে তার বন্ধু খ্যাত সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।

কারণ তিনি কৌশলী বক্তব্য দিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন। এখন আবার বলছেন সোনারগাঁয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা তিনি করবেন কাউকে ডাকবেন বা কোন ব্লকও সৃষ্টি করবেন না। কিন্তু এখানেও তিনি একটি কৌশলী বক্তব্য রেখেছেন কেউ তার সাথে কাজ করতে আসলে সুযোগ দিবেন। সার্বিক দিক বিভেচনা করে বোঝা যায় সোনারগাঁয়ে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে মান্নান বলয়ের ভাঙন না ধরলেও মান্নান বলয়ের সাঁজানো রাজনৈতিক ময়দানে মান্নানের অবস্থান লোপ পাবে। সেই সাথে তার বন্ধু খ্যাত মোশারফ হোসেন প্রকাশ্যে মামুন মাহমুদের পক্ষে না নামলেও পর্দার অন্তরাল থেকে পূর্ণ সমর্থন রাখবেন। যার ফলে সহজেই বলা যায়, এবার সোনারগাঁয়ে মান্নান-মোশারফের ঘাড়ের বোঝা হলেন মামুন মাহমুদ।


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন