Logo
Logo
×

রাজনীতি

বিএনপির সাবেক এমপিদের ঘাঁটিতে বসতে মরিয়া নবীণরা

Icon

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

বিএনপির সাবেক এমপিদের ঘাঁটিতে বসতে মরিয়া নবীণরা

বিএনপির সাবেক এমপিদের ঘাঁটিতে বসতে মরিয়া নবীণরা

Swapno

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে,দ্বন্দ্ব, বিভক্তিতে ক্রমান্বয়ে ছড়াচ্ছে নির্বাচনী উত্তাপ। জেলায় মোট সংসদীয় আসন পাঁচটি। এক সময়ে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনই বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু পরে আসনগুলো দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী জোটের পতনের পর প্রাণচঞ্চল্য ফিরে এসেছে ভোটের মাঠে। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও শুরু করেছেন দৌড়-ঝাঁপ। চালাচ্ছেন নিজ নিজ দলীয় হাইকমান্ডের কাছে জোর লবিং। তবে জেলার সব আসনেই বিএনপিতে রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। একটি আসনের বিপরীতে বিএনপির একাধিক প্রার্থী। তা ছাড়া ইতিমধ্যে প্রতিটি আসনেই সাবেক বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের জায়গা দিতে রাজি নয় বিএনপির নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। যাকে ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

এদিকে বর্তমানে জমিদার বংশের রাজপুত্র হিসেবে পরিচিতি নারায়ণগঞ্জ-১ আসন (রূপগঞ্জ) বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু একই সাথে তার সাথে মনোনয়ন যুদ্ধে রয়েছে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। যাকে ঘিরে সেই আসনে ইতিমধ্যে টাকার ছিটাছিটি চলছে এই আসনে বিএনপির সাবেক মনোনীত প্রার্থী হয়ে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের কাজী মনিরুজ্জমানকে এবার তাকে কোনভাবেই স্থান দিতে রাজি নয় সেই রাজপুত্র মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু।

যাকে ঘিরে বর্তমানে রূপগঞ্জে শুরু হয়েছে বিরোধী দলীয় নেতাদের নিজের আওতায় আনতে টানাটানির হিড়িক। এ ছাড়া ও এই আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ সদস্য মতিন চৌধুরীর পরিবার থেকে ও কাউকে সুযোগ দিতে রাজি নয় সেই আসনের নতুন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বর্তমানে মনোয়ন যুদ্ধ চলছে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ যিনি বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে নাম লিখিয়েছেন শিল্পপতির তালিকায়। একই সাথে সাবেক সাংসদ সদস্য খসরুর ছেলে ও সাবেক সাংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুলের ভাতিজা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। বর্তমানে এই সুমন এই আসনে ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদকে দিচ্ছেন না সুযোগ। একই সাথ তার আজন চাচা আতাউর রহমান আঙ্গুরেরসহ বিরোধীতায় রয়েছেন এই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে কিছুদিন পরপরই সেই এলাকায় দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে।

তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ সদস্য আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জন মানুষের নেতা অন্যদিকে রয়েছে শিল্পপতি হিসেবে পরিচিতি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। বর্তমানে এই তিন নেতা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে বিগত দিনে এই আসনের নতুন আসা দুই নেতা গিয়াস ও মামুন মাহমুদের এই আসন নিয়ে কোন চিন্তাই ছিলো না কিন্তু আসন পুণর্বিন্যাসে এই আসনে তৎপর হয়ে উঠেছে এরা। বর্তমানে তারেক রহমানের ৩১ দফার মাধ্যমে জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজের প্রচারনা ও চালাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বর্তমানে শ্রমিক অধ্যুষিত ঘনবসতিপূর্ণ এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় নেই কোন প্রার্থীই।

এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী নেতা। এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এ নেতা ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতিও ছিলেন। গিয়াসউদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ-৪ এর চেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গেছে। ওই আসনেও মনোনয়ন চাইতে দেখা গেছে তাকে।দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতির মাঠে সরাসরি না থাকলেও প্রতিবারই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ আসনটিতে আলোচনায় তুলতে শিল্পপতি শাহ আলম খরচ করেন টাকা। এবার ও তার ব্যাতিক্রম নয় কয়েক বছর আগে দল থেকে পদত্যাগ করা এ নেতা এখন সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলে ও মনোনয়ন কি হবে সেদিকে তাকিয়ে নষ্ট করছেন সময়। তবে, এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আরও রয়েছেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।

নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সকলেরই নজর কেন্দ্রের দিকে। তবে এই আসনে জোটগত প্রার্থীকেও দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যাকে ঘিরে গত ২০১৮ সালের মতোই এই আসনে জোটে পেতে পারে মনির হোসেন কাসেমী কিন্তু বর্তমানে তাকে সাইড দিতে নারাজ বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন (সদর- বন্দর) এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দীর্ঘ তালিকা এ আসনটিতে। এ তালিকায় দলটির শীর্ষ নেতারাও যেমন রয়েছেন তেমনি আছেন শিল্পপতিরাও। তাদের মধ্যে আলোচনায় আছেন সাবেক যুবদল নেতা ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল। এছাড়া, আসনটিতে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম এবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের বাকি চারটি আসন থেকে সব থেকে বেশি আলোচনায় এই আসনটি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন বর্তমানে যোগ্য প্রত্যাশী শূণ্য হলেও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে রয়েছে হেভিওয়েট একাধিক প্রার্থী যারা বর্তমানে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যেসহ কাঁদাছোড়াছুড়ি শুরু করে দিয়েছে, যাকে ঘিরে এই আসনের রাজনীতি অনেকটাই স্বগরম। কিন্তু এই আসনে ও সাবেক সাংসদ সদস্য আবুল কালামকে কোনভাবেই বিএনপির প্রার্থী মানবে না বিএনপির নেতাকর্মীরা সেই জোট ও ইতিমধ্যে এই আসনে শুরু হয়েছে। এদিকে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নবীন-প্রবীন নেতারা মনোনয়ন যুদ্ধে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সকলের দাবি নারায়ণগঞ্জে সাবেক সাংসদ সদস্যদের কোনভাবেই পূনরায় নিজেদের ঘাঁটি দখল করতে দেওয়া যাবে না সেই মতে একমত বিএনপির একাধিক বলয় জানিয়েছে সূত্র।


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন