Logo
Logo
×

রাজনীতি

কমেছে ৩১ দফার প্রচারণা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

কমেছে ৩১ দফার প্রচারণা

কমেছে ৩১ দফার প্রচারণা

Swapno



আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৩ নভেম্বর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৩৭ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টি আসনের বিএনপির দলীয় প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে কমেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারণা।


প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পূর্বে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ডজনে ডজনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রতিটি পাড়া মহল্লা চষে বেড়িয়েছেন তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট আকারে বানিয়ে একই সাথে নিজেদের নির্বাচনী সালাম ও সেখানে ছবি দিয়ে উল্লেখ করে রেখেছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তা ছাড়া ও সে সময় সেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঘোষণা ও দিয়েছিলেন ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করা আমাদের মূল দায়িত্ব এখন মনোনয়ন পাই না পাই।


কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে মাঠ ছেড়েছে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যশীরা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় এখনো এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মশিউর রহমান রনি, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, আলহাজ¦ শাহ আলম গণসংযোগ ও তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছেন। তা ছাড়া গুঞ্জন রয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলে ও কৌশলী অবস্থানে থেকে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছেন ‘এটাই চূড়ান্ত নয়’ দল চাইলে এতে পরিবর্তন আনতে পারবে। তার ঘোষণায় এখনো আশা ছাড়েনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।


এদিকে সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে ও বঞ্চিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দল। সেই ক্ষেত্রে বঞ্চিত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যে যার যার মতো করে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোটারদের থাকতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করার ঘোষণা থাকলে ও তারা কেউ মাঠে নেই। বর্তমানে সকলেই মাঠ ছেড়েছে।


এদিকে আসনগুলোতে দলটির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় বঞ্চিত অনেক নেতা নাখোশ। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের সরাসরি কেউ বিরোধীতা না করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কিংবা তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডে এই ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া সকলের মূখে একটাই বক্তব্যে এখনো চূড়ান্ত নয়। মনোনয়ন চূড়ান্তের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন বলে শোনা যাচ্ছে।


কিন্তু দলের হাইকমাণ্ড কোনো প্রকার ‘বিদ্রোহ’ বরদাশত করবে না বলে জানিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। দল থেকে পরিষ্কারভাবে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বর্তমানে মনোনীত প্রার্থী এবং বঞ্চিতরা আগের মতোই ধানের শীষের গুণগান জনগণের সাথে গাইবার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জাামান মাসুদের নির্দেশনা বিশাল র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু এদুই দুইজনই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এদের নেতৃত্বে বিশাল তাক লাগানো র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বিএনপিসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিলো।


একই সাথে সাবেক সাংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কালামের নেতৃত্বে ও শহরে বিশাল র‌্যালী লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বর্তমানে কাউকে সমর্থন দিচ্ছেন না। সকলেই মনোনয়ন চূড়ান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কিন্তু কেউ মাঠে আবারো সেই ৩১ দফা নিয়ে সরব থাকতে রাজি নয়।


নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, এক বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। কিন্তু যখন নেতৃত্বের মধ্যে যখন সিদ্ধান্ত আসে কেন্দ্র থেকে। তখন আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। সেই সিদ্ধান্ত আপনাদেরও মেনে নিতে হবে। এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দলের মধ্যে ঐক্য। আগামী নির্বাচন যে কঠিন হবে তা আমাদের নেতা তারেক রহমান বারবার বলে আসছেন। পাশাপাশি আমাদের নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা মোকাবেলা করতে হবে। এই ঐক্য যেনো কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়। সেজন্য সবাই সবার সঙ্গে সৎ আচরণ করবেন। পাশাপাশি দলীয় প্রোগ্রামের প্রতি আমাদের আন্তরিক হতে হবে। তা ছাড়া বর্তমানে যে মনোনয়ন ঘোষণা হয়েছে সেটি প্রাথমিক মনোনয়ন। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা সকলেই ৫টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয় করতে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।


মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ৪ থেকে ৫দিন আগে দল থেকে একটি প্রাথমিক প্রার্থী প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা চূড়ান্ত তালিকা নয়। সেই তালিকা যে সময় চূড়ান্ত হবে, যাকে যেই আসনে দল থেকে নমিনেশন দেওয়া হবে এবং এই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দল থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হবে আমরা তার পক্ষেই ধানের শীষের পক্ষে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো। কোন দ্বিধা দ্বন্ধ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আজকে যারা চূড়ান্ত নমিনেশন বলে প্রচার করছেন তাদের বলে দিতে চাই যে সময় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সেই সময় বলা হয়েছে এটা চূড়ান্ত কোন তালিকা নয়। সুতরাং এই সভা থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে এবং সকল পর্যায়ের নেতৃত্বকে বলে দিতে চাই, আমরা দলের পক্ষে আছি, ধানের শীষের পক্ষে আছি। আমরা আমাদের বুকের রক্ত দিয়ে হলেও ধানের শীষের প্রার্থীকে আমরা বিজয়ী করবো।


একই সাথে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু কালামের ছেলে আবুল কাউসার আশা বাবার পক্ষে বলেন, আজকে কোন রাজনৈতিক কোন বক্তব্য দিবো না। মেসেজ আপনাদের সামনে গতকাল ক্লিয়ার করেন দিয়েছিলাম। সবাই ধৈর্য্য ধরুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন, ইনশাআল্লাহ। দেয়া মালিক আল্লাহ, গণস্রোত যেখানে আমরা সবাই থাকবো সেখানে। আমরা সবাই সাবেক এমপি আবুল কালামের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি, আগামীতেও থাকবো। নারায়ণগঞ্জবাসীকে একটা মেসেজ দিতে চাই, ক্ষমতা না জনতা, দালালী না রাজপথ।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন