সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ
নারায়ণগঞ্জের জন্য জান দিয়ে কাজ করবো
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
নারায়ণগঞ্জের জন্য জান দিয়ে কাজ করবো
”নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, নির্বাচিত হলে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে জান দিয়ে কাজ করবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা হয়েছে- সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, যানজট, শিক্ষা ব্যবস্থা- সব ক্ষেত্রেই জটিলতা। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, ইনশাআল্লাহ হৃদয় দিয়ে কাজ করব, জান দিয়ে কাজ করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বয়স ৫৮-৫৯, কিন্তু জীবনে কখনো মামলা হয়নি, এমনকি একটা জিডিও না। জুলাই আন্দোলনে আমার মানবিক সহায়তা ছিল, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলাম না। আমি সাদা-কালো মানুষ, জটিল কিছু বুঝি না।” তরুণ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে একটি নিরাপদ, আধুনিক ও শিক্ষা-কেন্দ্রিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, “নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ন্যায়ভিত্তিক ও সম্ভাবনাময় নতুন নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই।”
এ সময় মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরূপ মন্তব্য করা অনুচিত। দল যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে, সবার উচিত সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করা। মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমার নমিনেশন ঘোষণার পর অনেকে বাজেভাবে কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। তারা হয়তো ভাবছেন, এতে আমাকে হেয় করা যাবে। কিন্তু যারা এটা করছেন, তাদের বলব- যদি কোনো কথা থাকে, দলীয় ফোরামে বলুন; প্রকাশ্যে দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা ঠিক নয়।” দলীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নমিনেশন দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল।
পাঁচটি গ্রুপ অনুসন্ধান চালিয়ে আমাকে যোগ্য মনে করেছে। আজকের পর থেকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব- এই প্রত্যাশা রাখি।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে। এটি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমোদনে প্রকাশিত। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- এটি একটি প্রাথমিক তালিকা, প্রয়োজনে সংশোধিত হতে পারে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এই তালিকাই দলীয় বাধ্যতামূলক নির্দেশনা।
” তিনি সতর্ক করে বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো ব্যক্তিগত বক্তব্য বা অবস্থান দলের ক্ষতি করে এবং অনৈক্য সৃষ্টি করে। ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাই এখন মূল দায়িত্ব।” সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম সম্পর্কে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমি ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে ছিলাম, তাই উনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তিনি আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক, আমি শিগগিরই তার সঙ্গে দেখা করব।” দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবাই যদি এই চিন্তা করে, তাহলে বিভ্রান্তি বা কষ্টের জায়গা থাকবে না। আমি আবারও আহ্বান জানাই- আমরা যেন একসাথে কাজ করি।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সহসভাপতি হাজী নূর উদ্দিন, মহানগর কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মাহবুবুল্লাহ তপন, মনোয়ার হোসেন শোখন, আলমগীর হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন,
মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, নারী নেত্রী সাজেদা খাতুন মিতা, কৃষক দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লিপি খন্দকার, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের জুলহাস মিয়া, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, তারেক জিয়া প্রজন্ম দলের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংঘের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাল উদ্দিন ইসা প্রমুখ।


