নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে চলছে সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী এবং চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে চলছে হৈচৈ। কারণ সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এক বাক্যে বলছেন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা চূড়ান্ত মনোনীত না। তবে যারা সম্ভাব্য মনোনীত হয়েছেন তাদের পক্ষে বিএনপির যেকোন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কাজ করতে পারবেন। যেটা নিয়ে আমাদের পক্ষে আপত্তির কিছুই নেই।

তবে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আছি চূড়ান্ত মনোনয়ন হওয়া পর্যন্ত থাকব। আমাদের নিয়ে সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী বা সমর্থকরা সমালোচনার অবকাশ রাখে না। মনোনয়ন প্রত্যাশায় সেমিফাইনালে খেলা শেষ করতে চাই না, ফাইনাল খেলা পর্যন্ত আছি এমনটাই অভিমত প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনীত হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া। তবে তিনি মনোনীত হওয়ার পর বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী মনিরুজ্জামানের সমর্থকরা তার সঙ্গ ত্যাগ করে দিপু বলয়ে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়াকে এখনই সরাসরি সঙ্গ দিতে যাচ্ছে না। চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্যন্ত ব্যক্তিগত ভাবে লড়াই চালাবেন তিনি কিন্তু সমর্থকরা তাকে ত্যাগ করলেও মোটের বিচলিত নন। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনীত হয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন  মাহমুদুর রহমান সুমন,আতাউর রহমান আঙ্গুর,পারভীন আক্তার। তবে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত মনোনয়নের আগে নজরুল ইসলাম আজাদকে সমর্থন করতে যাচ্ছেন স্পষ্ট করেছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। এছাড়া পারভীন আক্তারও বলছেন চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছে আজহারুল ইসলাম মান্নান। মনোনীত হওয়ার পর পরই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাড়িতে ছুটাছুটি করতে থাকেন মান্নান। যেখানে মামুন মাহমুদ,রেজাউল করিম,গিয়াসউদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

কিন্তু কেউ তাকে সরাসরি সমর্থন করেননি এখনো। তবে ইতিমধ্যেই বিপ্লব সংহতি দিবসে গিয়াসউদ্দিন বক্তব্যে বলেছেন, ঘোষিত প্রার্থী তালিকা হলো প্রাথমিক মনোনয়ন। এরপরে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যার হাতে ধানের শীষ থাকবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে সব নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন মাসুদুজ্জামান।

তবে তিনি প্রার্থী হওয়ার পর মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কালাম, আবু জাফর বাবুল, সাখাওয়াত হোসেন খান এখনো মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করলেও সম্ভাব্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে নিয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করছে না। তবে বিপ্লব সংহতি দিবসে সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্যে বলেছেন, অনেকে প্রচার করতেছেন এটাই চূড়ান্ত মনোনয়ন তাদেরকে বলে দিতে চাই এই তালিকা যখন ঘোষণা করা হয়েছে তখনই বলে দেয়া হয়েছে এটা প্রাথমিক মনোনয়ন, চূড়ান্ত মনোনয়ন পরে জানানো হবে। এতে করে স্পষ্ট ভাবে বুঝাই যাচ্ছে সম্ভাব্য মনোনয়নকে পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। চূড়ান্ত মনোনয়নই হবে তাদের কাছে বিএনপির গ্রহণযোগ্য মনোনয়ন।