দলে ফেরা নেতারা সুযোগ কাজে লাগাতে চান
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
দলে ফেরা নেতারা সুযোগ কাজে লাগাতে চান
মহানগর বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী একাধিক হেভিওয়েট নেতা বিগত দিনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে বহিস্কার হওয়ার পর ফের বহিস্কার প্রত্যাহার হয়ে মাঠে নামতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বিগত দিনের প্রভাব ফের জাগ্রত করতে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করেছেন। এদিকে সেই বহিস্কার প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের উপরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের পুরো সমর্থন থাকায় বিগত দিনে বহিস্কার হওয়ার পর তাদের কাছ থেকে ছুটে যাওয়া একাধিক বিএনপির কর্মীরা তাদের সাথে ভিড়তে শুরু করেছে।
তা ছাড়া এর বাহিরে ও সদর-বন্দর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে সেই বহিস্কার প্রত্যাহার হওয়া নেতাকর্মীরা আলোচনা সভা করে ভিড়াচ্ছেন তাদের সঙ্গে। আগামীতে মহানগর বিএনপির দায়িত্ব নিতে হবে এমনই দিক বিবেচনা করে ইতিমধ্যে হাঁট-ঘাট বেঁধে শক্তি জোগাচ্ছেন মহানগর বিএনপির বহিস্কৃত ৬ বিএনপি নেতা। এরা বর্তমানে নিয়মিত মাসুদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা, সভা-সমাবেশ এমনকি দলীয় নানান কার্যকলাপ পরিচালনা করছেন।
এদিকে ৫ আগষ্টের পরবর্তী সময়ে এই সকল নেতাকর্মীরা বহিস্কার থাকায় এরা কোন প্রকারের কার্যকালাপে অংশ নেয়ন্ িযাকে ঘিরে এরা ক্লিন ইমেজ রয়েছে এমনকি সর্বক্ষেত্রে সমালোচনার উর্ধ্বে তাদের অবস্থান। যাকে ঘিরে দ্রুতই নির্বাচনের আগে বা তার পরে হতে যাওয়া মহানগর বিএনপির কমিটিতে এদের মূল্যবান স্থানে অবস্থান থাকবে।
সূত্র বলছে, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু সম্ভাব্য প্রার্থী বিরোধীতায় থাকলেও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন জানান। তবে আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান সকল মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমন্বয়ে ঐক্যজোটে এখনও রয়ে গিয়েছেন। এর বাহিরে ও মহানগর বিএনপির একাধিক যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমানে মাসুদুজ্জামানের পাশে রয়েছেন। তা ছাড়া মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে ও বিভিন্ন অপবাধে বহিস্কার ও চাপে পিছনে থাকা একাধিক সাবেক নেতারা বর্তমানে দলে ফিরে আবার অনেকে শক্তি ফিরে পেয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠছে।
যারা বিগত দিনে কেউ কেউ ছিলেন মহানগরের দায়িত্বে আবার কেউ কেউ ছিলেন সদস্য। বর্তমানেও মহানগর বিএনপির দায়িত্ব পালন করার জন্য তাদের নানা শক্তি রয়েছে। যাকে ঘিরে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে যে কে হবে মহানগর বিএনপির আগামীর কাণ্ডারী। বর্তমানে বিভক্ত অবস্থায় মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ টিএম কালাম, বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, সদস্য শওকত হাসেম শকু, মহানগর বিএনপির সদস্য মুরাদ হোসেন, হান্নান সরকার, সুলতান। এই ৬ নেতা বিভিন্ন বিতর্কে দল থেকে বেড় করলে ও তাদের আবার ও বহাল করেছে বিএনপি।
যাকে ঘিরে মহানগরীর রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নয়া সমীকরণ। এদিকে বর্তমানে পুরো দমে মাঠে রয়েছেন মুকুল,শকু, মুরাদ, হান্নান, সুলতান দ্রুতই বিদেশ থেকে দেশে ফিরে মাঠে নামছেন এটি.এম কামাল। বর্তমানে এরা মহানগর বিএনপিতে জায়গা করে নিতে জোগাচ্ছেন শক্তি সদর-বন্দরে বড় করছেন বলয়। এর বাহিরে ও বর্তমানে এরা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের আস্থাভাজন। এদের বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারে বিশাল ভূমিকা রয়েছে মাসুদুজ্জামান মাসুদের। এদিকে সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের পর বা দৃঢ়গতি দেখা দিলে আগেই ভেঙে দেওয়া হতে পারে কমিটি।
যাকে ঘিরে বলা চলে মহানগর বিএনপির সময় রয়েছে ২ থেকে ৩ মাস। এরপরই বিশাল রদবদলের মাধ্যমে এবার চমক দিবে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বন্দরের বহিস্কৃত প্রত্যাহার নেতারা মহানগরে পুরো দমে সমর্থন দিচ্ছেন মুকুলকে এদিকে সদরে এটি.এম কামাল ও শকুকে পুরো দমে সমর্থন দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। যাকে ঘিরে দ্রুতই নিজেদের শক্তি ফিরে পাওয়া শুরু করেছেন নেতারা। বর্তমানে মহানগরের পুরনো সেই হেভওয়েট নেতারা মাঠে জাগ্রত হওয়া শুরু করছে এদের ভিড়েই হারিয়ে যেতে পারে পুরনো না নেতারা। এদিকে কর্মীরা আলোচনা করছে, এদের আগামীতে মূল্যায়ন করতেই বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছে দল।


