বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আত্মগোপেনে নাজিম উদ্দিন, শামীম ওসমানের হুংকার !

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১১:১৩ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। বর্তমানে জেলা কৃষক লীগের সভাপতিও এই বিতর্কিত ব্যাক্তিটি। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় আগে নাজিম উদ্দিন (বাঘ প্রতীক নিয়ে) সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই গুনধর ব্যাক্তিটিকে। 

এর আগে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভূঁইঘর এলাকার ভুমিদস্যুতারও অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতার দাপটে নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহন সেক্টর থেকে চাঁদাবাজীও শুরু করে। সাইনবোর্ডের সরকারী জায়গা দখল করে সেখানে গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনাও। এ নিয়ে বেশ কয়েক মাস আগে ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও। 

নাজিম উদ্দিনের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সেই সময় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলাও রুজু হয়। তবু রুপায়ণ এলাকায় বসবাসরত ব্যাক্তিরা তার অত্যাচার থেকে রক্ষা পায়নি। 

একের পর এক নাজিম উদ্দিন ও তার বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা রুপায়নের বাসিন্দাদেও হতে হয় নির্যাতনের শিকার। অভিযোগ রয়েছে সাংসদ শামীম ওসমানের লোক হিসেবে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

নাজিম উদ্দিন জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে ভূইঘর ও রুপায়ন এলাকায় তার আধিপত্য আরো বেড়ে যায়। রুপায়নের ৭৮৪টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজনদের নানা রকম নির্যাতন শিকার হয়ে আসছে। শনিবার রুপায়নে প্রথম দফা হামলা চালায় নাজিম উদ্দিন বাহিনী। 

এরপর দ্বিতীয় দফায় নাজিম উদ্দিনের লোকজন হামলা চালায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটে এসময় তারা ঐ ফ্ল্যাট গুলোতে লুটতরাজ চালায় বলেও অভিযোগ। লুটতরাজের সময় শিক্ষা মন্ত্রালয়ের একজন সচিবও হামলার শিকার হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় নাজিম  উদ্দিনকে প্রধান করে একটি মামলাও দায়ের করা হয়। 

মামলার পরপরই নাজিম উদ্দিন ও তার লোকজন রুপায়ন এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। অধরাই রয়ে গেছে নাজিম উদ্দিন ও তার সহযোগীরা।

এঘটনার পর শনিবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান রুপায়নে আহত ও ক্ষতি গ্রস্থদের সাথে দেখা করতে যান। এসময় তিনি রুপায়নে বসবাসরত ব্যাক্তিদের সাথেও কথা বলেন। 

রুপায়নে বসবাসরতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন‘আল্লাহ্‘র কসম করে বলছি আমি শামীম ওসমান কাউকে ছাড় দিবো না,সে যেই দলেরই হোক না কেন। আজকের পর থেকে রূপায়নে যারা আছেন তারা বুক ফুলিয়ে বাহিরে বের হবেন কোন ভয় নাই। 

যারা রূপায়নে হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আহত পরিবারের কাছে মাফ চাইতে হবে। তা না হলে আমি প্রত্যেককে ঘর থেকে বের করে রূপায়নে এনে পিটাবো। 

শনিবার দুপুরে রূপায়নে নাজিমউদ্দিন বাহিনীর হামলায় আহত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালামকে দেখতে এসে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।