শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

না.গঞ্জে পেঁয়াজের ঝাঁজ বেশি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

নারায়নগঞ্জের বাজারে এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে দেশি পঁয়াজের দাম। প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকায়।

ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা ৩০০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে শহরের দিগুবাবুর বাজারে দেখা যায় এই চিত্র।

পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে সব বিক্রেতারই একই কথা জানালেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে না তাই দাম বেড়েছে।

এই দামেই অনেককে দেখা গেল পেঁয়াজ কিনতে। ডিগুবাবুর বাজারে এক ক্রেতা জানালেন দাম আরও বাড়তে পারে তাই সকালেই পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন তিনি।

পেঁয়াজ রপ্তানি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধের ঘোষণা করেছে ভারত। গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনভর দেশের তিনটি প্রধান স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসেনি। পরে রাতে ভারত সরকারের রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দেশটির আমদানিকারকদের হাতে আসে।

এদিকে সোমবার বিকেল থেকেই অস্থির হয়ে পড়ে নারায়নগঞ্জের পেঁয়াজের বাজার। আর দ্বিগুবাবুর বাজারের আড়তে বেলা ৩টার দিকে যে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকা ছিল, সন্ধ্যা ৭টায় তা ওঠে ৭০ টাকায়।

আর একই বাজারে ৫০ টাকা কেজির ভারতীয় পেঁয়াজ রাত ১০টায় হয়ে যায় ৬০ টাকা। মঙ্গলবার সকালে সেই দাম আরও বেড়েছে। এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

গত বছরও ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় অস্তির হয়ে ওঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এতে বাজারে হুহু করে বাড়তে শুরু করে দাম। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে শতক হয়, দ্বিশতক হয়।

বাংলাদেশ চাহিদা মেটাতে যতটুকু পেঁয়াজ আমদানি করে, তার ৯০ শতাংশের বেশি আসে ভারত থেকে। ভারত বন্ধ করে দিলেই কেবল ব্যবসায়ীরা অন্য দেশে পেঁয়াজ খুঁজতে শুরু করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হয় পেঁয়াজ। পরে ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল গত মার্চ মাসে। এরপর থেকে আমদানি হচ্ছিল।

এদিকে গতকাল পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক কমানোর আবেদন নাকচ করল এনবি আর। কিছুদিন আগে পেঁয়াজের ওপর ৫% আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল তা নাকচ করে এনবি আর।