শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

সমস্ত পৃথিবীর মুসলমানদের লজ্জা এনে দিচ্ছে হেফাজত : প্রধানমন্ত্রী

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:০১ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২১ রোববার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ট ধর্ম ইসলাম। যে ধর্ম সহশীলতা শিখিয়েছে, শান্তির কথা বলেছে, সাধারণ মানুষের কথা এবং মানুষের উন্নয়নের কথা বলেছে। সে পবিত্র ধর্মকে এরা (হেফাজত) কলুষিত করে দিচ্ছে। তারা ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করেছে। বিনোদনের এত অর্থ কোথা থেকে আসে সেটাও একটা প্রশ্ন। কাজেই এটা দেশবাসি বিচার করবে।

 

তিনি বলেন, আইন তার গতিতে চলবে। হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে। একজন মুসলমানের দায়িত্ব আরেকজন মুসলমানের জানমালের রক্ষা করা। আর হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও পোড়াও করে যাচ্ছে, আর বিএনপি জামায়াত হচ্ছে তাদের মদদদাতা। সমস্ত পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য তারা লজ্জা এনে দিচ্ছে। এটাই আমাদের দুঃখ যে, আমাদের পবিত্র ধর্মটাকে তারা সকলভাবেই নষ্ট করে দিচ্ছে।

 

গতকাল রোববার সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হকের নারী বিষয়ক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আগুন নিয়ে খেলেছে তারা। এক ঘরে আগুন লাগলেতো সে আগুন অন্য ঘরেও চলে যেতে পারে। সেটা কি তাদের হিসেবে নেই। আজকে রেল স্টেশন থেকে শুরু করে ভূমি অফিস, ডিসি অফিসসহ সব জায়গায় আগুন দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মাদরাসা তাদের বাড়িঘর সেগুলোও যদি আগুন লাগে তখন তারা কি করবে। জনগণ কি বসে বসে শুধু এগুলো সহ্য করবে, নাকি করবে না। তারাতো সহ্য করবে না। অনেকে বলছেন পুলিশ কেন এগুলো সহ্য করছে। তারা সহ্য করছে না, আমরা এগুলো বিরত করার চেষ্টা করছি। সংঘাতে সংঘাত বাড়ে, আমরা তা চাইনি। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীটা আমরা ভালভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি।

 

যারা এটা করছে দেশবাসী এটার বিচার করবে। দেশবাসী দেখছে। এদের চরিত্রটা কি। আমি মুখ থেকে কিছু বলতে চাই না। গতকালই আপনারা দেখেছেন। এরা একদিকে ইসলামের নাম, ধর্মের নাম, পবিত্রতার নাম, এতকিছু বলে যখন অপবিত্র কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে। সোনারগাঁয়ে একটা রিসোর্টে হেফাজতের জয়েন্ট সেক্রেটারী ধরা পড়লো। সেটাকে ঢাকা দিতে নানা রকমের চেষ্টা। পার্লারে কাজ করে এক মহিলা, তাকে একদিকে বউ হিসেবে পরিচয় দেয়, আবার তার স্ত্রীর কাছে বলে যে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলে ফেলেছি।

 

যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, এমন অসত্য কথা বলতে পারে? তা তো পারে না। তাহলে এরা কী ধর্ম পালন করে আর মানুষকে কী ধর্ম শিখাবে। হেফাজতের যারা সদস্য আমি তাদেরকেও অনুরোধ করি, আগুন জ্বালাও পোড়াও করে যে একটা রিসোর্টে একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে তিনি বিনোদন করতে গেলেন। এটাই বাস্তবতা। অর্থাৎ এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক, এরা ইসলাম ধর্মকে ছোট করে দিচ্ছে। কিছু লোকের জন্য আজকে এই ধর্মটা জঙ্গীর নাম, সন্ত্রাসের নাম, আর এখন যে চরিত্র দেখালো দুশ্চরিত্রের নাম সব নাম জুড়ে দিচ্ছে।