মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১   ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পলিথিন প্লাস্টিকে ঠাসা কুতুবপুরের ড্রেন 

স্টাফ রিপোর্টার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:২২ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২১ রোববার

ডিএনডি অধ্যুষিত ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন। বর্ষা মৌসুমে এই ইউনিয়নবাসী নিমজ্জিত থাকে জলাবদ্ধতায়। অপেক্ষাকৃত নি¤œাঞ্চল হওয়ায় জলাবদ্ধতা এই ইউনিয়নে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য ডিএনডি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর সুফল এখনো পাওয়া যায়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার দূর্বিসহ ভোগান্তি লাঘব হবে কুতুবপুরের লাখো বাসিন্দাদের। 
তবে, এলাকাভিত্তিক যেসকল পয়নিষ্কাশনের ড্রেন রয়েছে, এগুলো বিভিন্ন প্লাস্টিক ও বোতলে ঠাঁসা। ফলে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া ড্রেনগুলোতে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে।
এই অবস্থায় সামনে বর্ষা মৌসুম চলে আসলেও এসকল ড্রেনগুলো এখনো পরিস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি কুতুবপুর ইউনিয়নে। ফলে আসন্ন বর্ষায় আবারও জলাবদ্ধতার ভোগান্তি দেখা দিবে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল। 
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিটি এলাকার ড্রেনগুলো ময়লা আবর্জনায় ঠাঁসা। কিছু কিছু ড্রেন আবার বালু মাটিতেও আটকে আছে। বৃষ্টি মৌসুম চলে আসার আগেই যদি এগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া না হয়, তাহলে বৃষ্টি মৌসুমে এসব ড্রেনে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিবে। এতে করে, আবারও বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বিদ্যমান। 
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু দৈনিক যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘যেখানে যেখানে ডিএনডি প্রজেক্ট আছে, সেখানে সেখানে কাজ চলছে। এর মধ্যে আমাদের সীমাবদ্ধতা যতটুকু রয়েছে, আমরা তার ভেতরেই কাজ করছি। ডিএনটি প্রজেক্টের বাইরে মহল্লা ভিত্তিক যেসকল স্থানে ড্রেনস্থাপন করা প্রয়োজন আমরা সেখানে ড্রেন নির্মান করে দিয়েছি। আর এখন করোনার কারণে সকল কাজই স্থগীত।’  
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘যেসকল এলাকায় ড্রেন করা হয়েছে, সেসকল এলাকার ইউপি সদস্য, স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটি এবং স্থানীয় বাসিন্দা যারা আছে, তারা এই ড্রেনগুলো পরিস্কারের উদ্যোগ নেবে। আমাদের কাজ হচ্ছে ড্রেন করে দেয়া। এগুলো পরিস্কার রাখার কাজ হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যার যার বাড়ির সামনে দিয়ে যদি নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার রাখা হয়, তাহলে কিন্তু এই সমস্যা থাকে না। আর এগুলো পরিস্কারের জন্য আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোন বরাদ্ধ নেই। তবে, লেভার খরচ যা থাকে, তা মেম্বারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা শেয়ার করে ব্যায় করে।’