শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

এনায়েতনগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ চেয়ারম্যান আসাদ

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২১ বুধবার

গত কয়েক বছর ধরে এনায়েতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মাসদাইর বিসিক রোড, বারৈভোগ, মুসলিম নগর এবং গাবতলী এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

 

ফলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই জলাবদ্ধতা। এলাকাবাসী জানিয়েছে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, একবার বৃষ্টি হলে সহজে আর পানি সরে না। আর বর্ষাকালে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়। এতে হাঁটু পানির নিচে আবার কোথাও কোমড় পানির নিচে ডুবে থাকে মানুষের বাড়িঘর দোকানপাট। তাই ওই সকল এলাকার মানুষ চরম দূর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। 


তাই এই বিষয়ে বিসিক রোড এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বাদল বলেন, অত্র এলাকাটি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকা। এলাকার চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। বৃষ্টি ছাড়াই বিসিক রোড ডুবে থাকে। সারা বছরই মানুষের পয়নিস্কাশনের পানিতে এই বিসিক রোড ডুবে থাকে। ফলে বিসিকের শ্রমিকদের যাতায়ত করা কঠিন হয়ে পরে। তাই আমাদের দাবি যেকো মূল্যে এই সমস্যার যেনো সমাধান করা হয়। আমরা মাননীয় এমপি একেএম শামীম ওসমান এবং আমাদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


অপরদিকে গাবতলী এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকা ডিএনডির ভেতরে অবস্থিত। প্রতি বছরই বর্ষাকালে গাবতলী এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনী কাজ করলেও গাবতলী এলাকার পানি নামার কোনো ব্যবস্থা নেই। এলাকাটি সিটি করপোরেশনের বাহিরে হওয়ায় কোনো পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করা হয়নি। সেনা বাহিনীও কোনো ড্রেন নির্মাণ করছে না। স্থানীয় এমপি এবং চেয়ারম্যানও কোনো খোঁজ খবর রাখেন না। তাই সারা বর্ষাই ডুবে থাকে গাবতলী এলাকা। অপরদিকে এনায়েতনগরের মুসলিমনগরেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ না করায় ওই এলাকার মুসলিম নগর বাজারেই পানি জমে যায়। এতে বর্ষা জুড়ে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। 


এদিকে এ বিষয়ে জানতে ওই এলাকার মহিলা মেম্বার রোজিনা আক্তারকে টেলিফোন করা হলে তিনি বলেন, মাসদাইর বিসিক রোডে সারা বছরই পানি জমে থাকে। তাই শ্রমিকদের যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই এই পানি সরাতে হলে খাল খননের কোনো বিকল্প নেই।  এদিকে সামনেই বর্ষা। চলে গেলো আরো একটি বছর। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো কাজই হলো না। ফলে ওই সকল এলাকাবাসীর মাঝে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।