শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তেলের বাজারে অস্থিরতা কাটেনি, শিথিল কাঁচাবাজার

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ১ মে ২০২১ শনিবার

প্রতিবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজারের উর্ধ্বমুখি দেখা গেলে এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য ছাড়া অন্যান্য দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। তেল ও চালের বাজারে অস্থিরতা থাকলেও তূলনামূলক শিথিল রয়েছে কাঁচাবাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারনে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় তরিতরকারির দামও কম।  


গতকাল শুক্রবার শহরের দিগুবাবু বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আলু প্রতি কেজি ১৮ টাকা, পেয়াজ ৪০ টাকা কেজি , আদা ৮০ টাকা কেজি, রসুন ১২০ টাকা কেজি, মরিচ ৪০ টাকা কেজি, লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা হালি, লম্বা আকৃতির বেগুন ৪০ টাকা। রমজানের শুরুতে যা বিক্রি হয়েছিলো ৮০ টাকা দরে। তবে, গোলাকৃতির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। এদিকে মৌসুম না থাকায় টমেটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে একই ধরনের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। শসার কেজি ৪০ টাকা। কাঁচা আম প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। পোটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ঢেরশ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে উস্তা।


এদিকে, বৃদ্ধি পেয়েছে চিনির দাম। আগে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও রমজান মাসের শুরু থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি। পোলাউর চাউল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়, তবে, ভোজ্য তেলের অস্থিরতা এখনো কাটেনি। খোলা তেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। আর দুই লিটারের বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা কেজিতে। এদিকে, ৫৫০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করার কথা থাকলেও নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যদিকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকা কেজিতে।


এই অবস্থায় দ্রব্যমূলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন ক্রেতারা।