শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

জমেছে ঈদের কেনাকাটা, মার্কেটে ভিড়

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:২৭ পিএম, ৩ মে ২০২১ সোমবার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মার্কেটগুলো জমে উঠেছে। কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারাও। তবে করোনা পরিস্থিতিতে উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

 

শনিবার (১ মে) নগরীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।চাষাঢ়ার সান্তনা মার্কেট, সমবায় মার্কেট, প্যানোরোমা প্লাজা, সায়াম প্লাজা, হক প্লাজা, কালিরবাজারের ফ্রেন্ডস মার্কেট, রেলওয়ে সুপার মার্কেট, রিভার ভিউ মার্কেট, ডিআইটির ওয়ালী সুপার মার্কেট, আজহার সুপার মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দম ফেলবার ফুরসত নেই ক্রেতাদেরও। ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড় এবং মার্কেটে দোকানের আয়তন ছোট হওয়াতে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই মাস্ক পরিধান করলেও উপেক্ষিত থাকছে শারীরিক দূরত্ব।

 

সরেজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দোকানগুলোতে চলছে গাদাগাদি করে কেনাবেচা। কেউ কেউ মাস্ক পরছেন আবার কেউ কেউ পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। শুধু মার্কেটগুলো নয় বঙ্গবন্ধু সড়কের দুপাশে থাকা ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। যার কারণে পথচারীদেরও চলাচলে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন ডিজাইন ও রং বে-রংয়ের পোশাকের মাঝে নিজেদের সুরক্ষার কথা ভুলে গিয়েছেন ক্রেতারা। নিজের দশ বছর বয়সী ছেলে নিয়াজকে নিয়ে সমবায় মার্কেটে ঈদের শপিং করতে এসেছেন শরিফুল। কিন্তু এ সময় তার মুখে মাস্ক দেখা গেলেও তার ছেলের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

 

এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বাচ্চা মানুষ শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাই পরে নাই। ইচ্ছা ছিল না ওকে আনার, তবে অনেক জেদ করলো নিজের ঈদের জামা নিজ পচ্ছন্দে কিনবে তাই সঙ্গে নিয়ে আসা। নাহলে এই করোনার মধ্যে ওকে নিয়ে বের হতাম না। এদিকে গত ২৬ এপ্রিল থেকে মার্কেট দোকানগুলো খুললেও তখন জমে ওঠেনি বেচাকেনা। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় সেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। ক্রেতার চাহিদা বাড়ার কারণে মার্কেট খোলা রাখার যে নির্ধারিত সময়ে বেধে দেয়া হয়েছে তার থেকেও বেশি সময় পর্যন্ত মার্কেটগুলো খোলা রাখছেন দোকানিরা। যার কারণে বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এসে মার্কেটগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। আগত ক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ মার্কেট দোকানগুলোতে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নামমাত্র অবস্থায় মার্কেটের বাইরে স্থাপিত ছিল জীবানুনাশক টানেলগুলো।

 

এছাড়াও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি বেশিরভাগ মার্কেটে। দোকানগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছিল না স্যানিটাইজার স্প্রে ও থার্মাল স্ক্যানে তাপমাত্রা মাপার কোনো সরঞ্জাম। এতে করে ক্রেতাদের পাশাপাশি তাদের সাথে আসা ছোট শিশুদেরও করোনা সংক্রমণের আশংকা থেকে যাচ্ছে। মার্কেটে বেচাকেনা জমে উঠা প্রসঙ্গে ডিআইটি ওয়ালী সুপার মার্কেটের বিক্রেতা ফজলে রাব্বী জানান, দিন যত যাচ্ছে আমাদের বেচা কেনা ততই বাড়ছে। আমাদের লেডিস আইটেমের পোশাক, তাই লেডিস কাস্টোমারের সংখ্যাই বেশি। শুরুর দিকে তেমন কাস্টমার না পেলেও এখন কাস্টমারের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে বিকিকিনি বাড়ছে।


কালীবাজার রেলওয়ে সুপার মার্কেটের উজ্জল বস্ত্রালয়ের বিক্রেতা জুনায়েদ জানান, মার্কেট মাত্র জমতে শুরু করেছে। লকডাউনের জন্যে বাজার তেমন ভালো ছিল না। বেচাকেনা শুরু করছি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তবে আগের বছর থেকে এবার একটু বেচাকেনা ভালো।
ঈদের শপিং করতে আসা তাসমিয়া জানান, ঈদের সময় জামা-কাপড়ের দাম এমনেই অনেক থাকে আর তার দাম ঈদের শেষ সপ্তাহে জামা-কাপড়ে হাত দেয়াই যায় না। তাই এখন কিনতে আসা।