শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

মামুনুল হকের সঙ্গে আরো ৪/৫ নারীর সম্পর্ক : পুলিশ

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১১:০৭ পিএম, ৩ মে ২০২১ সোমবার

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সঙ্গে আরও চার থেকে পাঁচজন নারীর সম্পর্কের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই নারীদের সঙ্গে ‘মানবিক বিয়ের’ সম্পর্ক গড়ে  মামুনুল অনৈতিক কাজ করতেন বলেও জানায় তারা।

 

সোমবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুবুল আলম এ তথ্য জানান।

এবিষয়ে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, ‘মামুনুল হকের আরও চার থেকে পাঁচজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কের তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের সঙ্গে মানবিক বিয়ের সম্পর্ক গড়ে অনৈতিক কাজ করতেন তিনি। তিনি একটি বিয়ের ছাড়া অন্য কোনোটির কাবিননামা দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল এক নারীসহ অবরুদ্ধ হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। ঘটনার দিন থেকেই ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত বিয়ের বিষয়ে বৈধ কোনো কাজগপত্র দেখাতে পারেননি হেফাজতের এই নেতা। পরে মোহাম্মদপুর থানায় করা এক সাধারণ ডায়েরিতে মামুনুলের তৃতীয় বিয়ের খবর পাওয়ায়। এরপর আরও একাধিক নারীর সঙ্গে মামুনুলের সম্পর্কের খবর উঠে আসে। সম্প্রতি কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।

 

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাবলিগ জামাতকে দুই ভাগ করার নেপথ্যেও হেফাজত নেতাদের হাত ছিল। রমজানকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল হেফাজতের। রমজান মাসে বদরের যুদ্ধ হয়েছিল। আরেকটি বদর যুদ্ধের ডাক দিয়েছিল হেফাজত। গত ২৬ মার্চ শুরু হওয়া সহিংসতা রমজান পর্যন্ত টেনে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের।’


মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন মাদরাসায় পাওয়া দানের অর্থ নাশকতার কাজে ব্যবহার করতেন হেফাজত নেতারা। হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতায় এ অর্থ ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে আরেকটি ‘শাপলা চত্বর’ তৈরি করে সরকার পতনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।’