শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১   ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার শক্তিশালী মুখপাত্র আবদুল কাদির

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ৬ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জের অনেকের মতে বরাবরই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীকে অন্যায়ভাবে আক্রমন করে মজা পান নারায়ণগঞ্জের দুই এমপি। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান। তারা দুই ভাই।

 

তাদের মাঝে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানতো রাতদিন একাকার করে মেয়র আইভীকে আক্রমণ করে চলেছেন। তিনি এবং তার কয়েকজন সহকর্মী মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে একের পর এক মনগড়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। তবে মেয়র আইভী সহজে তাদের এসব অপপ্রচারের জবাব দেন না বা দিতে চান না। যখন তারা একেবারে বাড়াবাড়ি শুরু করেন তখন মেয়র মুখ খোলেন এবং ধমক দিতে বাধ্য হন।

 

ফলে পরিস্কার করে বলতে গেলে বলা যায় মেয়র আইভী সহজে ওসমানদের অপপ্রচারকে পাত্তা দিতে চান না। কিন্তু আইভী পাত্তা না দিলেও মোটেও ছেড়ে কথা বলেন না আলী আহম্মেদ চুনকার জামাতা এবং মেয়র আইভীর ছোট বোনের স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির। এই আবদুল কাদির বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি। গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা গেছে দুই ওসমান এমপি যখনই মেয়র আইভীকে আক্রমন করে কথা বলেন অথবা নারায়ণগঞ্জের জনগনের স্বার্থ বিরোধী কোনো বেফাঁস মন্তব্য করেন তখনই তাদেরকে কড়া জবাব দিতে এক চুলও ছাড় দেন না আবদুল কাদির।

 

ফলে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহলের মতে নারায়ণগঞ্জের জনগনের পক্ষ্যে একজন মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছেন তিনি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কোনো অপশক্তিকে পরোয়া না করে জনগণের পক্ষে আরো কয়েকজন নেতা কথা বলছেন। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির নেতা এডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতা শহীদ উল্লাহ প্রমুখ।

 

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়োজনে উচিৎ কথা বলতে ছাড় দিচ্ছেন না। তবে আবদুল কাদির বরাবরই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির দিকে নজর রাখছেন এবং নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা তার কাছে কিছু জানতে চাইলে তিনি খোলামেলা কথা বলছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার রয়েছেন। বিশেষ করে প্রভাবশালী দুই এমপির বিরুদ্ধে যখন কেউ কথা বলতে চায় না তখন এই আবদুল কাদির তাদেরকে নূন্যতম ছাড় দিয়ে কোনো কথা বলেন না।

 

তাই এসব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে গতকাল কাদিরের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দুই এমপি নারায়ণগঞ্জের গনমানুষের নেতা মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে যে সকল কথা বলেন এসব কথা নারায়ণগঞ্জবাসী মোটেও গ্রহণ করেন না। বরং ঘৃণা ভরে তাদের অপপ্রচারকে প্রত্যাখান করেন মানুষ। কিন্তু তারপরেও নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা যখন এসব নিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চান তখন আমি বলতে বাধ্য হই। কারণ যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণ যা জানতে চায় আমি সেটা বলতে বাধ্য।

 

তিনি বলেন আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান কি ধরনের রাজনীতি করছেন এবং তার এই অপরাজনীতিকে তার বড় ভাই সেলিম ওসমান কিভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাই তাদের এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করা আমাদের জন্য ফরজ বলে আমি মনে করি। আসলে শামীম ওসমানের মূল টার্গেট হলো যেভাবে সম্ভব মেয়রকে তার উন্নয়ন কাজে বাধা দান করা। ফলে তার এই অপচেষ্ঠার ফলে যদি উন্নয়ন ব্যাহত হয় তাহলে বঞ্চিত হবে নারায়ণগঞ্জের জনগণ। শামীম ওসমান বরাবর এই চেষ্ঠাটাই করে এসেছেন। তাই এই শহরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই শামীম ওসমানের এই ধরনের কর্মকান্ড প্রতিহত করা জরুরি।

 

তিনি আরো বলেন, শামীম ওসমানরা বড় বড় কথা বলেন ঠিকই। কিন্তু যখনই আমরা তার এই নির্জলা মিথ্যাচারের জবাব দেই তখনই তিনি চুপসে যান। বেশিদূর এগোতে পারেন না। কারন মিথ্যা দিয়েতো আর সত্যকে ঢাকা যায় না। তাই এ যাবৎ শামীম ওসমান যতোবার মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন ততোবারই তিনি হেরে গেছেন এবং রীতিমতো নাস্তানাবুধ হয়েছেন। ফলে তার কোনো ষড়যন্ত্রই সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাই আগামী দিনগুলিতে আরো জোরালো ভাবে তাদের এই ষডযন্ত্রমূলক তৎপরতার আরো জোরালো ভাবে দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। তাই আমরা আশা করবো শামীম ওসমান এসব ছেড়ে তিনি তার এলাকার উন্নয়নে মনোনিবেশ করবেন।

 

কারণ তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় একেবারে মুখ থুবরে পরেছে তার এলাকার উন্নয়ন। আমরা তার নিজের এলাকার উন্নয়নে তার সাফল্য কামনা করছি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে তার না ভাবলেও চলবে। অন্যথায় তার যেকোনো ষড়যন্ত্রের কঠোর জবাব দিতে আমরা প্রস্তত রয়েছি।