শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

ঈদে দর্জিপাড়ায় ভীড়, তবে মজুরি কম কারিগরদের

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ১১ মে ২০২১ মঙ্গলবার

কোন এক সময় ঈদ মানেই ছিল দর্জির দোকানে আগে থেকেই পোশাকের মাপজোখ দিয়ে আসা। এর আগে গজ-কাপড়ের দোকান থেকে পছন্দের কাপড় কেনা ইত্যাদি। তবে এখন সময় স্বল্পতার কারণে অনেকেই ঈদে তৈরি পোশাকের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু তবুও নগরীর দর্জির দোকানগুলোতে এখনো যেন, ব্যস্ততার কোন কমতি নেই। আর এই ব্যস্ততা এতই বেশি যে ২৫  রমজানের পর থেকে অধিকাংশ দর্জিই কাজের অর্ডার নেন-না। কারণ ঈদের আগেই তো গ্রাহকের কাছে তাঁদের পছন্দের পোশাকটা তুলে দিতে হবে।


গতকাল সোমবার নগরীর দুই নং রেলগেট সংলগ্ন সোঁনারবাংলা মার্কেটে দেখা যায়, বিভিন্ন দর্জির দোকানগুলোতে চলছে সেলাইয়ের কাজ। মালিক কারিগর সবার মাঝেই চরম ব্যস্ততা। এখানে তৈরী হচ্ছে- ছেলেদের শার্ট, পেন্ট, কমপ্লিট স্যুট, কাবলি, পাঞ্জাবি, সাফারিস্যুটসহ আরো বিভিন্ন রকমের পোশাক।


এ সময় দর্জিরা জানান, সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি পোশাকেই এসেছে তারতম্য। সংযুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইন (নকশা)। তাই এক একটি পোশাক তৈরিতে লাগছে বাড়তি সময়। কিন্তু কাজের সাথে তাল মিলিয়ে কোণ দর্জিই তাঁদের মজুরি ঠিকমতো পচ্ছেনা। অন্যদিকে গত কয়েক বছর ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের ফলে আয় রোজগাড়ের দিক দিয়ে এরা আরো বেশি কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।


সোনারগাঁ মার্কেটের স্টার টেইলার্স’র মালিক রতন মিয়া। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যস্ততার আর করেনার কথা বাদ দেন। পারিশ্রমিকের কথাই কই, আসলে ভাই আমাদের দর্জিদের চাক্কার টাকা এখন ফাক্কা। প্রতিদিন যা কামাই বাড়িতে যাইতে যাইতেই শেষ। করোনা ও লকডাউনের ফলে সব ধরণের পণ্যের দামই বাড়ছে কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়ে নাই। ৫ বছর আগেও একটা শার্টের মজুরি ৩০০ টাকা ছিলো এখনো ৩০০ টাকাই আছে। বরং গ্রাহকরা আইলে আমাগো ৩০০ টাকা মজুরির জায়গাতে ২৫০ টাকা ধরাইয়া দেয়। না নিলে আবার মন খারাপ করে।  


এসময় কথা হয় তার পাশের দোকানের কারিগর স্বপন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, শুধু রোজার মাস এলেই আমরা প্রতিদিন বেশি হলে ৩ টি থেকে ৪ টি শার্ট  সেলাই করতে পারি। আর অন্য সময়ে ১ থেকে ২ টা শেলাই করা যায়। যার পারিশ্রমিক হিসেবে আমরা ৩ থেকে ৪০০ টাকা পাই। সব কিছুর এত দাম যে, এই টাকা দিয়ে কিছুই করা যায়না। মন চায় কাজটা ছেড়ে দেই কিন্তু অনেক দিন হইয়া গেছে এই কাজে। তাই মন চাইলেও পারিনা। তাছাড়া গত কয়েক বছলে লকডাউন ও করোনার ফলে আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে সেটাতো আপনারা বোঝেনই।