বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

সবকিছু খোলা রেখে কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা অযৌক্তিক

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৪৬ পিএম, ৩ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

দেশে গার্মেন্ট সহ সকল প্রকারের ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা। গার্মেন্টগুলিতে গাদাগাদি করে ঢুকছে, বের হচ্ছে আর কাজ করছে মানুষ। হাটবাজারেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। পাড়া মহল্লায় চলছে জমজমাট চায়ের আড্ডা। কিন্তু এতো সব কিছুর পরেও করোনায় তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বিশে^র বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর পরিমান নগণ্যই বলা চলে। এছাড়া যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তারা অধিকাংশই বয়স্ক বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত। তাই এমতাবস্থায় সব কিছু খোলা রেখে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো কারন থাকতে পারে না বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের অভিভাবক মহল।

 


এদিকে কবে খুলবে স্কুল কলেজ কেউ পরিস্কার করে বলতে পারছে না। এরই মাঝে ঘরে ঘরে প্রতিবন্দী হয়ে পরেছে অনেক শিশু। বিশেষ করে মেধাবী শিশুরা ঘরে বন্দী থেকে এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। তারা স্কুল কলেজ খোলার জন্য আকুতি জানাচ্ছে। অনেক অভিবাবক মনে করেন করোনা এমন একটি রোগ যা শেষ হবার নয়। তাইতো বিশ^ব্যাপী টিকা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। টিকা দিয়ে চলছে প্রতিরোধের চেষ্ঠা। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে কবে টিকা দেয়া শেষ হবে আর কবে স্কুল খুলবে সেটা একেবারেই অনিশ্চিৎ। তাই অনেকে মনে করেন সরকারের উচিৎ কিছু কঠোর স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করে স্কুল কলেজ খুলে দেয়া। অন্যথায় যে ক্ষতি হচ্ছে তা আর কখনোই পোষানো যাবে না। কারণ সহজে টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না।

 


এদিকে একদিকে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসতো হচ্ছেই, অপরদিকে সারা দেশে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক কর্মচারীরাও পড়েছে বিপাকে। তাদের অনেকেরই বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। তাই অনেক বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে। এদিকে দেশে ভারত থেকে টিকা কিনে যখন টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিলো এই কার্যক্রম যদি ধারাবাহিকভাবে চালানো যেতো তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। এতোদিনে কয়েক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়ে যেতো।

 

কারণ তিন কোটি ডোজ টিকা কেনা হয়েছিলো ভারত থেকে। কিন্তু সেই ক্রয়কৃত টিকা দেয়নি ভারত। ফলে যা ক্ষতি হবার তাই হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যহত হয়েছে টিকা দান কার্যক্রম। আর এই কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার কারণে একদিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, অপরদিকে আর্থিকভাবে চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।