শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

সব খোলা, বন্ধ শুধু স্কুল কলেজ!

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ৭ জুন ২০২১ সোমবার

দেশে এখন আর কিছুই আটকে নেই। সব কিছুই চলছে সমান তালে। কিছুদিন পরিবহন বন্ধ ছিলো সেটাও এখন চলছে আগের মতোই। হোটেল রেস্টুরেন্ট সব কিছুই খোলা। আর আগে থেকেই খোলা মিল কারখানা গার্মেন্টসহ সকল প্রকারের উৎপাদন সেক্টর। কেবল মাত্র বন্ধ করে রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। আর এতেই দেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা অপূরণীয় বলে মনে করছেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। 

 


এদিকে এতো সব কিছু খোলা থাকার পরেও করোনায় তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর পরিমান নগণ্যই বলা চলে। তাই এমতাবস্থায় কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো কারন থাকতে পারে না বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের অভিভাবকমহল। তাই যতো দিন যাচ্ছে ততোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জোরালো হচ্ছে। বিশেষ করে অভিবাবক মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জোরালো দাবি জানাচ্ছে। প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের তিন ভাগ করে সপ্তাহে দুই দিন করে ক্লাস নেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।

 


এদিকে কবে খুলবে স্কুল কলেজ কেউ পরিস্কার করে বলতে পারছে না। এরই মাঝে ঘরে ঘরে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে অনেক শিশু। বিশেষ করে মেধাবী শিশুরা ঘরে বন্দী থেকে এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। তারা স্কুল কলেজ খোলার জন্য আকুতি জানাচ্ছে। অনেক অভিভাবক মনে করেন করোনা এমন একটি ভাইরাস যা শেষ হবার নয়। আর আগামী কয়েক বছরেও বাংলাদেলে সব মানুষকে টিকা দেয়াও সম্ভব নয়। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে কবে টিকা দেয়া শেষ হবে আর কবে স্কুল খুলবে সেটা একেবারেই অনিশ্চিত। তাই অনেকে মনে করেন সরকারের উচিৎ কিছু কঠোর স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করে স্কুল কলেজ খুলে দেয়া। অন্যথায় যে ক্ষতি হচ্ছে তা আর কখনোই পোষানো যাবে না। কারণ সহজে টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না।

 


এদিকে একদিকে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসতো হচ্ছেই, অপরদিকে সারা দেশে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক কর্মচারীরাও পড়েছে বিপাকে। তাদের অনেকেরই বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। তাই অনেক বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে দেশে ভারত থেকে টিকা কিনে যখন টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিলো এই কার্যক্রম যদি ধারাবাহিকভাবে চালানো যেতো তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। এতোদিনে কয়েক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়ে যেতো।

 

কারণ, তিন কোটি ডোজ টিকা কেনা হয়েছিলো ভারত থেকে। কিন্তু সেই ক্রয়কৃত টিকা দেয়নি ভারত। ফলে যা ক্ষতি হবার তাই হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যহত হয়েছে টিকা দান কার্যক্রম। আর এই কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার কারণে একদিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, অপরদিকে আর্থিক ভাবে চরম সংকটে পরেছে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।