শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

আইভীর বিরুদ্ধে নীরব ষড়যন্ত্র

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

ঘনিয়ে আসছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আর আসন্ন এই নির্বাচনে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তত রয়েছেন এই সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বেশ ভালো করেই জানেন একটি মহল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন থেকে তাকে বিতারিত করার জন্য গত ১০ বছর ধরে নিরন্তর চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন তারা এবারও চুপ করে বসে নেই।

 

তবে এতোদিন এই চেষ্ঠা তারা করেছেন প্রকাশ্যে আর এখন করছেন কিছুটা নিরবে। এমনকি বিগত ঈদুল ফিতরের আগেও তারা মেয়রের বিরুদ্ধে দুটি গোষ্ঠীকে মাঠে নামিয়েছিলেন। দালাল টাইপের কয়েকজন আলেমকে মাঠে নামিয়েছিলেন মেয়রের বিরুদ্ধে মসজিদ মাদ্রাসার জায়গা দখলের অপপ্রচার করার জন্য। আবার কিছু হিন্দু নেতাকে মাঠে নামিয়েছিলেন মন্দিরের জায়গা দখলের অপপ্রচার করার জন্য। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই তারা ব্যার্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, যে সকল দালালকে তারা টাকা পয়সা দিয়ে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছিলেন তারা সকলেই চরমভাবে নাজেহাল হয়েছেন। এইসব দালালরা একদিকে জনগনের কোনো সাড়াতো পানই নাই বরং অপরদিকে তারা সোস্যাল মিডিয়ায় এবং লোকাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচিত হয়েছেন।

 

ফলে তাদের এই ষড়যন্ত্রের কারনে মেয়রের লাভ ছাড়া কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং ক্ষতি হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীদের এবং তাদের দোষরদের। মেয়রের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করে দালালরা নারায়ণগঞ্জের জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়ে পরেছেন। সবাই জেনেছে এই শহরের কিছু আলেমদের নামে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের জন্য একজন নির্বাচিত মেয়রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে পিছপা হয়নি। তাই নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মুসলমানদের কাছে এই সকল আলেমদের গ্রহণযোগ্যতা শুণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

 

অপরদিকে যে সকল হিন্দু নেতা মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছিলেন তারাও খোদ তাদের কমিউনিটির কাছেই নাজেহাল হয়েছেন। সাধারণ হিন্দুরা মেয়র আইভীর পাশেই থেকেছেন। এবং অনেক হিন্দু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন এই মেয়র তাদের জন্য কি কি উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তারা মেয়র আইভীর পক্ষে ব্যাপক প্রচার করেছেন। ফলে সাধারন হিন্দু ভোটারদের মাঝেও মেয়র আইভীর গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হয় নাই।

 

তবে এই মুহুর্তে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও চুপ করে বসে নেই ষড়যন্ত্রকারীরা। বরং এবার নিরবে আরো জোরালো ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। তাদের এখন এতটাই টার্গেট আগামী নির্বাচনে যাতে মেয়র আইভী মনোনয়ন না পান। আর এই টার্গেটকে সামনে রেখে এবার তারা মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলে জানা গেছে। মেয়র আইভীর পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে তার পিতার জায়গায় যে চারতলা ভবনটি নির্মাণ করেছেন এটার ছবি নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের কিছু নেতাকে দেখানো হয়েছে। আর মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসার জয়াগা দখলের ভুয়া প্রচারও এখানো সেখানেই করা হচ্ছে।

 

সূত্রমতে আরো জানা গেছে এসব কিছুই জানতে পেরেছেন মেয়র আইভী। তারা যাদের কাছে গিয়েছেন সেখান থেকেই মেয়রকে সব জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এক কথায় বলা চলে এবারও আইভীকে সিটি করপোরেশন থেকে সরানোর মিশন নিয়ে জোরালো অপতৎপরতা বন্ধ হয়নি। বরং এই ষড়যন্ত্র এখন আরো জোরদার করা হয়েছে। শুধু স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নিরব থাকার। কারন ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হলে লজ্জা পেতে হয়। তবে মেয়র আইভীর কাছে কোনো কিছুই গোপন থাকছে না। তিনি সবই জানতে পারছেন এবং নিজের মতো করে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ তিনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি যেভাবে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন এর মূল্যায়ন প্রধানমন্ত্রী করবেন। প্রধানমন্ত্রী তাকেই দেবেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।