শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

কোভিড হাসপাতালে করোনা টেস্টে নেই সামাজিক দূরত্ব

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

লকডাউনের মধ্যেও করোনা টেস্ট এ ভিড় লক্ষ করা গেছে নারায়ণগঞ্জ কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে। সকাল থেকেই হাসপাতালটিতে করোনা টেস্ট করার জন্য আসতে থাকে অনেকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে লাইনও দীর্ঘ হতে থাকে। তবে এখানে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও তার উল্টো দেখা গেছে এই কোভিড হাসপাতালে।

 

যেখানে করোনার এই সেম্পল নেওয়া হচ্ছে সেখানেই গাঁদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যারা টেস্ট করতে এসেছেন। এতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে এই চিত্র লক্ষ করা গেছে।  এদিকে যারা করোনা টেস্ট করতে এসেছেন তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ সামাজিক দূরত্ব রাখা ও স্বস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

 

এতে যারা আক্রান্ত হয় নাই তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসএমএস পদ্ধতি না থাকায় অফিসের ভিতরে ছিলিপ এর মাধ্যেমে নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে। তবে বাইরে অবস্থানরত যারা টেস্ট করাতে এসেছেন তাদের সুশৃঙ্খলভাবে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  ডিএইচ বাবুল নামের করোনা টেস্ট করাতে এসে অভিযোগ করে বলেন, এখানে কোন সামাজিক দূরত্ব নেই। অফিসের ভিতরে যারা কাজ করেন তারা বেশির ভাগ সময় আড্ডা দিয়ে থাকেন। তাই এই টেস্টের লাইন দীর্ঘ হয়। তারা কোন খবর রাখেন না বাহিরে লাইন কত বড় হয়েছে।

 

তিনি সকাল ১১টায় এসে দেড়টায় টেস্ট করার সুযোগ পান। দেড়টার পর তারা আর কারো থেকে সেম্পল নেন না। লাইনে অনেক মানুষ থাকলেও তারা বন্ধ করে দেন।   সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বস্থ্যবিধি মেনে টেস্ট করার বিষয়ে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত¡াধায়ক আবুল বাসার জানন, এ বিষয়ে সচেনতা করলেও শুনেনা। এই লকডাউন চলা কালিনও সন্ধ্যার পর যেখানে করোনা সেম্পল নেয়া হয় সেখানে আড্ডা করে মানুষ।

 

কেউ একবারও মনে করেনা এখানে ভাইরাস থাকতে পারে এতে সে সহ যারা আড্ডা দেয় তারা আক্রান্ত হতে পারে। তারপরও আমরা সবাইকে স্বস্থ্যবিধি মেনে টেস্ট করার জন্য বলছি। আর এসএমএস পদ্ধতি বাতিল করে দেয়া হয়েছে। এতে অনেক সমস্যা হয় তাই এখন থেকে লাইনে যে আগে আসবে সেই পরীক্ষা করাতে পারবে।