বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১   ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আড়ত ভরা রসালো ফল আম, দামও কম

মামুন খান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

সুমিষ্ট ও রসালো আমে ভরপুর শহরের প্রধান পাইকারী ফলের আড়ৎ চারারগোপ। পাকা আমের সুমিষ্ট গন্ধ সবখানে। বাজার ছাড়াও শহরের মোড়ে মোড়ে, অলিগলির ভ্রাম্যমাণ আম বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম চারদিক। শহরের  প্রধান ফলের পাইকারি বাজার কালীর বাজারের চারারগোপে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব ফল আসে। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতার হাত হয়ে আসছে ক্রেতার নাগালে।

 

জ্যৈষ্ঠের শেষ প্রান্তে আম বাজারে আসে এখন আষাঢ়ের শেষ পর্যায়ে। সবমিলিয়ে আমের মৌসুম শেষের দিকে আর অল্প কিছুদিন থাকবে আমের মৌসুম। এবার উৎপাদনও ভালো, তাই দামও গতবারের তুলনায় কম। শুধু আম নয় কাঁঠালসহ মৌসুমী ফলে সয়লাব বাজারগুলোতে। সরেজমিনে শহরের পাইকারী ফলের বাজার চারারগোপ আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে, আড়ৎ আম দিয়ে ভরা। নানা জাতের ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে সব আড়তেই আমের আধিক্য। চলছে কেনাবেচা। বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা পাইকারী আম কিনতে আসছেন আড়তে। পাইকারি ছাড়াও খুচরা আম কেনা যাচ্ছে আড়ৎ থেকে। রসনা তৃপ্ত করতে বাহারি মৌসুমী ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। ঐতিহ্য মেনে আবার কেউ কেউ প্রিয়জনের বাসায় উপহার হিসেবে পাঠাতে কিনছে করেট ভর্তি আম।

 


চারারগোপ ফলের বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত আম থাকায় এবং দামও তুলনামূলক স্বাভাবিক হওয়ায় বাজারে আসা ক্রেতারা খুশি। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে  করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ক্রেতা অনেক কমই দেখা গেল। আর এতেই হতাশ ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা কম থাকায় মিলছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম কম। আর দকম দামে আম কিনকে পেরে খুঁশি ক্রেতারা।
চারারগোপের বাবু বানিজ্যলায়ের মালিক গুরু দাস বলেন, দেশে এবার আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। যে কারণে আড়ৎগুলো আমে ভরা। দামও ক্রেতার নাগালের মধ্যে। প্রতিদিন আমের গাািড় আসছে। রাজশাহী জেলার আমের ফলন প্রায় শেষের পথে। তার জন্য দাম একটু বাড়তি ।

 

কারন রাজশাহীর আম খুবই রসে গুনে ভরপুর।  তাঁর দোকানে ল্যাংড়া, হিমসাগর, হাড়িভাঙ্গা, আম রুপালি, চোষা, সুরমাসহ আরো দু-এক প্রজাতির আম আছে। ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট এ কয়েক প্রজাতির আম সব দোকানেই আছে। দামেও ভিন্নতা নেই। কিন্তু বাজারে  ক্রেতা কম আসায় বিক্রি কম হচ্ছে। তিনি বলেন, হাড়িভাঙ্গা পাইকারী ৫৫ টাকা, ল্যাংড়া-আম রুপালি ৬০ টাকা, ফজলি ৪০ টাকা, লক্ষণভোগ ৩০টাকা, বাড়িফোর ও মল্লিকা আম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে পাইকরাী এক কেরেট ২৪ থেকে ২৫ কেজি আম থাকে । অন্যবারের তুলনায় এবার দাম কম হলেও ক্রেতা না থাকায় অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও হতাশ।