শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

যখনই সন্ত্রাসীরা বেড়েছে তখনই লাগাম টেনে ধরেছেন আইভী

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:১৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২১ বুধবার

# বিগত নির্বাচনে তার স্লোগান ছিলো, “নেই চিন্তা নেই ভয়, শহর হবে শান্তিময়”


নারায়ণগঞ্জ শহরে সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরার জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভীই যথেষ্ঠ। তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরো আগে থেকেই সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে চলেছেন। তিনি আছেন বলেই এই শহরে সন্ত্রাসীরা এখন আর লাগামহীন সন্ত্রাস করতে পারে না। মেয়র আইভী কেবল সন্ত্রাসীদের নয় বরং তাদের গডফাদারদেরও লাগাম টেনে ধরেছেন। আইভী একজন সৎ সাহসী মেয়র এবং গন মানুষের নেতা হিসাবে সারা দেশের মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। বিগত সিটি নির্বাচনের আগে তার স্লোগান ছিলো “নেই চিন্তা নেই ভয়, শহর হবে শান্তিময়”।

 

তিনি এই শহরকে শান্তিময় রাখার চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। যখনই সন্ত্রাসীরা কোথাও থাবা বসানোর চেষ্ঠা করছেন তখনই তিনি প্রতিবাদ মূখর হয়ে উঠছেন। ফলে শহরে একটি ব্যালেন্স তৈরী হয়েছে। অন্যথায় আইভী না থাকলে এই শহরে মানুষ বাস করা আরো অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়তো। তবে ভালো কাজে আইভীকে সহায়তা করছেন এই শহরের বেশ কিছু সাংবাদিক। এই সাংবাদিকরা সকল প্রকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন এবং তারা মেয়র আইভীর পাশেও দাঁড়াচ্ছেন। তাই নারায়ণগঞ্জ শহরের নেতৃত্বে মেয়র আইভীর কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে যুগ যুগ ধরে একটি পরিবারের হাত ধরে সন্ত্রাসীদের আবাদ চলছেই। সেই সারোয়ার, লাল, নিয়াজুল, মাকসুদ, অগা মিঠু থেকে শুরু করে এখনকার লিমন, হাজী রিপন আর ফুটবল মনিরগং এই একই পরিবারের প্রোডাকশন। তবে এই পরিবারের শেল্টারে থেকে অতীতে যারা সন্ত্রাসের পথে পা বাড়িয়েছিলো তাদের অনেকেই পরে সন্ত্রাস ছেড়ে সঠিক পথে চলে আসে এবং অকালে মৃত্যু বরন করে।

 

এদের মাঝে সারোয়ার, লাল এবং মাকসুদ অকালেই মৃত্যু বরন করেন। এই তিনজনের মাঝে দুইজন ব্রেইন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন এবং অপরজন নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন। এছাড়া এই পরিবার আরো যাদেরকে তৈরী করেছিলো তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন, মাসদাইরের টাওয়ার সেলিম, চাঁনমারির নজরুল ইসলাম সুইট, কুতুবপুরের মেছের ও তার ভাই তোফাজ্জল এবং ফতুল্লার টুন্ডা মাসুদসহ আরো অনেকে। এদের অনেকের নির্মম মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু এভাবে অনেকে অকালে ঝড়ে গেলেও বন্ধ নেই সন্ত্রাসের অবাদ। একজন যায় আবার আরেক জনকে তৈরী করে ওই পরিবারের সদস্যরা।

 


তবে এতো কিছুর পরেও নারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন কিছুুটা সাহস খুঁজে পান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর কারনে। এই পরিবারের বাহিরে গত সতেরো বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে পৃথক বলয় তৈরী করে নেতৃত্বে রয়েছেন মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। মেয়র আইভী কেবল নারায়ণগঞ্জে নয় বরং সারা বাংলাদেশে একজন পপুলার রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত। তিনি গণমানুষের নেতা হিসাবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও বিশেষ স্নেহধন্য একজন। তাই ওই বিশেষ পরিবারের পালিত সন্ত্রাসীরা যখন বেপরোয়া হয়ে উঠেন তখন তাদের লাগাম টানার জন্য তৎপর হয়ে উঠেন মেয়র আইভী। বিগত নির্বাচনে মেয়র আইভীর অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি ছিলো এই নারায়ণগঞ্জ শহরকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখা। তিনি চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ হোন্ডাবাহিনীর তৎপরতা নিয়েও মুখ খুলেছেন মেয়র।

 

তিনি বলেছেন এখনই যদি হোন্ডা বাহিনীর লাগাম টেনে ধরা না হয় তাহলে জনগন তাদের ধরে গণপিটুনি দেবে। মেয়রের এই বক্তব্যের পর নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র পাড়া মহল্লায় যারা সন্ত্রাসীদের ভয় পেতে শুরু করেছিলো তারা আবার সাহসী হয়ে উঠেছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন করে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ফতুল্লায় সোমবার একই দিনে পৃথক দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। মাদকের আধিপত্য নিয়ে ঘটেছে এই খুনের ঘটনা। নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ মনে করেন ভালো মতো খোঁজ নিলে দেখা যাবে এই দুটি ঘটনার পেছনেও কোনো না কোনো ভাবে ওই পরিবারের ক্যাডারদের হাত রয়েছে।

 

তাই আইনশৃংখলা বাহিনী যদি এখনই পরিস্থিতির লাগাম টেনে না ধরে তাহলে আবারও এই শহরে শুরু হয়ে যেতে পারে খুনের হোলী খেলা। কারন এর আগে এই শহরে ত্বকী, চঞ্চল, মিঠু সহ আরো বহু চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এই সকল হত্যাকান্ডের জন্য এই বিশেষ পরিবারকেই দায়ী করেছে নিহতদের পরিবারগুলো।