মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

বাদ পড়াদের এই সপ্তাহেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:২৭ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার

গত মে মাসে ঈদুল ফিতরের পূর্বে যারা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার (কোভিশিল্ড) এর প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তাদের এই সপ্তাহের মধ্যেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল কিংবা ৩০০ শয্যা হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ মোস্তফা আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমাদের এই সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদানের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তাই যারা এখনো অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি তারা যেন শীঘ্রই যোগাযোগ করেন।

 

মোস্তফা আলী জানান, গত মাসে সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করেছেন। যারা ইতিপূর্বে এই ভ্যাকসিন এর প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদের অন্য টিকা নেওয়ার সুযোগ নাই। এতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তাই যেহেতু এখন টিকা মজুদ আছে এবং সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, তাই যারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি তাদেরকে খানপুর ৩০০ শয্যা ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যোগাযোগ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করার জন্য আহবান জানান তিনি।

 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন স্বল্পতার কারণে যারা প্রথম ডোজ গ্রহণ করার পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারেননি, তাদের জন্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করেন। যা আগস্ট মাসের ২ তারিখ থেকে দেওয়া শুরু হয়। যারা এখনো গ্রহণ করেননি তারা খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল কিংবা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) যোগাযোগ করেন। এই সপ্তাহের মধ্যে এই টিকা প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

 

উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকা প্রদান শুরু হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনতে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ৭০ লাখ ডোজ আসার পর ভারতে করোনার সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় ভারত টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে আর চালান আসেনি। এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছিল ওই টিকার ৩২ লাখ ডোজ। 

 

এ বিষয়ে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক চিকিৎসক শামসুল হক এক অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে নির্ধারিত সময়ে সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, সারা দেশে ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাননি। যাঁরা প্রথম ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাঁরা দ্বিতীয় ডোজে কোনোভাবেই অন্য কোনো কোম্পানির টিকা নেবেন না। এতে ক্ষতি হতে পারে।

 

তিনি আরও জানান, প্রথম ডোজ টিকা যে কেন্দ্র থেকে নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয়টিও একই কেন্দ্র থেকে নিতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএস পেয়েছেন, কিন্তু টিকা পাননি, তাঁরা ওই আগের এসএমএস দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন।