মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

না’গঞ্জের সিরিয়াল কীলারদের প্রতিহত করেছেন মেয়র আইভী

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৫৪ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার

# যেখানে সন্ত্রাস সেখানেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের এই মেয়র


# ত্বকী, আশিক, চঞ্চল, মিঠুসহ হত্যাকা-গুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মেয়র


# মেয়র আইভী না থাকলে নারায়ণগঞ্জে আবার শুরু হতে পারে বেপরোয়া সন্ত্রাস


# এই শহরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মেয়র আইভীর কোনো বিকল্প নেই



নারায়ণগঞ্জ শহরের যেখানেই সন্ত্রাস সেখানেই প্রতিবাদী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। মাত্র কয়েক বছর আগেও যখন নারায়ণগঞ্জ শহরে সিরিজ হত্যাকান্ড ঘটছিলো তখন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী।

 

ত্বকী, আশিক, চঞ্চল, মিঠু সহ হত্যাকান্ডগুলি গোটা নারায়ণগঞ্জবাসীকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছিলো। আর এসব হত্যাকান্ডের জন্য আঙুল তোলা হচ্ছিলো এই শহরের একটি বিশেষ পরিবারের দিকে তখন এসব হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পরেছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। মূলত তার তীব্র প্রতিবাদের কারনেই বন্ধ হয় সিরিয়াল কিলিং। তখন সিরিয়াল কীলারদের প্রতিহত করেছিলেন মেয়র আইভী। যদিও এসব হত্যাকান্ডের আজও বিচার পায়নি পরিবারগুলো।

 

তাই যারা মনে করেন মেয়র আইভীকে মানুষ কেবল উন্নয়নের জন্য ভোট দেন তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করেন। মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং তার সঙ্গে তিনি শহরের ভয়ংকর গডফাদারদের লাগাম টেনে ধরেছেন। তাই নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন আইভীর এই প্রয়োজন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। কারন সন্ত্রাসী গডফাদাররা এখনো বিদ্যমান। তবে আইভীর কারণে তারা এখন অনেকটাই সংযত। কিন্তু যখনই আইভী থাকবেন না তখনই আবার শুরু হবে বেপরোয়া সন্ত্রাস। তাই এবারও যেকোনো মূল্যে মেয়র আইভীকেই চান নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ। তারা নে করেন এই শহরের শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার জন্য মেয়র আইভীর কোনো বিকল্প নেই।

 


এদিকে রাজনীতি করতে যে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী বা ক্যাডার বাহিনীর দরকার পরে না এটা প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জের প্রবীন নাগরিকদের মতে, মেয়র আইভী নিজের মেধা, প্রজ্ঞা এবং শ্রম দিয়ে নিজেকে সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিগত প্রায় টানা সতেরো বছর ধরে মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসাবে সর্বস্তরের মানুষকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরো অনেক আগেই একজন সৎ জনপ্রতিনিধি হিসাবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন।

 

ফলে তিনি যতোবার নির্বাচন করেছেন ততোবারই বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন। তিনি দুইবার বিএনপির দুই প্রার্থী এবং একবার নিজ দলীয় প্রার্থীকে হারিয়েছেন। তিনটি নির্বাচনেই তিনি জিতেছেন ব্যাপক ব্যাবধানে। আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে তার নিজ দলীয় প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানকে হারিয়েছেন এক লাখের বেশি ভোটের ব্যাবধানে এবং পরের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকে হারিয়েছেন আশি হাজার ভোটের ব্যাবধানে। তিনটি নির্বাচনই জনগনের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিলো। অথচ এসব নির্বাচনে শামীম ওসমান ও বিএনপির প্রার্থীদের হারিয়ে দিতে তার কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রয়োজন পরেনি। নারায়ণগঞ্জের জনগন তাদের সর্ব শক্তি নিয়োগ করে দাঁড়িয়েছেন আইভীর পাশে। আর যার পাশে জনশক্তি থাকে তার যে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রয়োজন পরে না সেটা তিনি প্রমান করেছেন।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একটি পরিবার সন্ত্রাসী বাহিনী ছাড়া কোনো রাজনীতিই করতে পারেন না। তাদের কাছে রাজনীতি মানেই হলো সন্ত্রাস। নারায়ণগঞ্জবাসী অনেকের মতে এই পরিবারের কাছে রাজনীতি একটি লাভজনক ব্যবসাও বটে। দেশের এক নম্বর ধনী জেলা হিসাবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলায় রাজনীতি করে বিগত বছরগুলিতে তারা এবং তাদের কিছু চেলা শত শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশেও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের সব কয়টি অবৈধ খাত রয়েছে তাদের দখলে। তাদের টাকা উপার্জনের আরো একটি বড় খাত হলো চাঁদাবাজী। শহরের বড় ব্যবসায়ীরা সকলেই তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে থাকেন।

 

এছাড়া তাদের মাধ্যমে যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেই সকল উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে থাকেন তারা। আর এসব কারনে তারা যাই বলেন না কেনো, তাদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। মানুষ তাদেরকে পছন্দ করেন না। দেশে যদি কখনো কোনো অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন হয় তাহলে তারা জয়ী হতে পারবেন না। তাই তারা সন্ত্রাসী ছাড়া রাজনীতির কথা ভাবতেই পারেন না। কিন্তু ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর এসবের কোনো প্রয়োজন নেই। তার ব্যাক্তিত্ব হাজারো সন্ত্রাসীর চেয়েও হাজার গুন বেশি শক্তিশালী। অন্যথায় এই শহরে এভাবে তিনি টানা দেড় যুগ টিকে থাকতে পারতেন না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার আইভীকে সারা বাংলাদেশের মানুষ একজন সৎ ও বলিষ্ঠ নেতা হিসাবেই চিনেন। তাই তিনি বলিষ্ঠ ভাবেই প্রমান করেছেন রাজনীতি করতে কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর দরকার পরে না। বরং মেয়র আইভী এটাও প্রমান করেছেন, সৎ সাহস থাকলে সন্ত্রাসী যতো বড়োই হোক না কেনো তাদেরকে প্রতিহত করা যায়।