শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

কাশীপুরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাড়ছে

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোববার

# এবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চান বিএনপির সাবেক প্রার্থী কাশেম শিকদার

 

কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষত নির্বাচনকে ঘিরে এখন লড়াইয়ের ময়দান সরগরম। প্রতিদিন চেয়ারম্যান পদে নতুন নতুন প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এবার বিএনপির কাশেম শিকদারও নির্বাচন করতে চান বলে জানা গেছে। ফলে এই মুহুর্ত্বে আওয়ামী লীগের দুইজন আর বিএনপির দুইজন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীরা প্রয়োজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

 


এদিকে আসন্ন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার তিনজন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন আরো আগেই। এরা হলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও অপর সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন শিকদার এবং বিএনপি নেতা ও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ডালিম শিকদার। তিন জনই ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এরই মাঝে সাইফ উল্লাহ বাদল ও মোমেন শিকদার গোটা ইউনিয়ন জুড়ে ব্যানার পোষ্টার লাগিয়েছেন। বিএনপি নেতা ডালিম শিকদারও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সারা দেশে বিএনপি নির্বাচন করলে তিনি বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন এবং জীবন বাজি রেখে মাঠে থাকবেন। কোনো অবস্থায়ই ওমর আলীর মতো মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন না।

 


এদিকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সাইফ উল্লাহ বাদল এবং মোমেন শিকদারের পক্ষে উল্লেখযোগ্য পরিমান ব্যানার পোষ্টার লাগানো হয়েছে। তারা দুইজনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মোমেন শিকদারকে যদি আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নাও দেয় তারপরেও তিনি নির্বাচন করতে চান। কারন অতীতে তিনি বিএনপির প্রার্থীর সাথে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন গত নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান এবং সাইফ উল্লাহ বাদল দুইজনেই তাকে কথা দিয়েছিলেন গতবার  যেন তিনি সাইফ উল্লাহ বাদলকে সমর্থন করেন। তাহলে দ্বিতীয়বার আর সাইফ উল্লাহ বাদল নির্বাচন করবেন না। কিন্তু দেখা গেলো এবারও সাইফ উল্লাহ বাদল নির্বাচন করতে চাইছেন। কিন্তু মোমেন শিকদার এবার মাঠে ছাড়তে রাজী নন। তিনি আশাবাদী স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাকেই দেবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। আর যদি না দেন তাহলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার অনুমতি চাইবেন। তার বিশ্বাস তিনি জয়ী হবেন।

 


অপর দিকে বিএনপির অবস্থান জানতে কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মঈনুল হোসেন রতনের সাথে যোগাযোগ করে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কাশীপুর ইউনিয়নটি বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত। তাই দল যদি নির্বাচন করে তাহলে আমরা অবশ্যই এবারের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। আমাদের একজন জনপ্রিয় প্রার্থীও প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি হলেন ডালিম শিকদার। ইতিপূর্বে তিনি মেম্বার পদে নির্বাচন করে বার বার জয়ী হয়েছেন। সারা ইউনিয়নেই তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। তাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আমি তাকেই সমর্থন করছি। দল নির্বাচন করলে আমরা মাঠে থাকবো। কোনো হুমকি ধমকিতেই মাঠ ছাড়বো না ইনশাআল্লাহ।

 

দল নির্বাচন বয়কট করলে কি করবেন? তখন ডালিম শিকদার স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা? এই প্রশ্ন করা হলে মঈনুল হোসেন রতন বলেন, তখনো আমরা বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যেমে সিদ্ধান্ত নেবো। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমরা পুরোপুরিই প্রস্তুত এবং আশা করি ডালিম শিকদারকে প্রার্থী করা হলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন ইনশাআল্লাহ।