শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জুয়েলের গলা ফাঁটানো মিথ্যাচার

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার

নারায়ণগঞ্জ-৪  আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ডাকা প্রথম কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয় নাসিক ১৯ ওয়ার্ড তথা বন্দরের টিক্কার মোড় এলাকায়। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কর্মী সভার ঘোষণা দিলেও সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হওয়া বন্দরের ওই সভা নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সর্বত্র।

 

কেননা, বন্দরের শীর্ষ পদধারী আওয়ামী লীগ নেতারা ওই সভায় ছিলেন অনুপস্থিত। একই সাথে কর্মী সারিতেও সিংহভাগ চেয়ার ছিলো কর্মী বা শ্রোতা শূন্য। এমনকি বিকেলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে আসা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল যখন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন, তখনও দর্শক সারিতে সিংহভাগ চেয়ার খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু কিশোর ও যুবক উপস্থিত থাকলেও অধিকাংশ চেয়ার খালি পড়ে থাকায় তারাও ছিলেন ভাবলেশহীন।

 

দৈনিক যুগের চিন্তার ফেসবুক লাইভের কল্যাণে ওই সভার ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। কর্মী সভায় তুলনামূলক কর্মী না থাকায় তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিরুপ মন্তব্যও করছেন। এই বিষয়ে দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদও প্রকাশিত হয়। তবে ‘কর্মী সভায় কর্মী নেই’ এমন সচিত্র প্রতিবেদনে আঘাত পেয়েছেন শামীম অনুসারীরা।

 

বিশেষ করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেনের চোট একটু বেশিই অনুমীয় হচ্ছে তার বক্তব্যে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাদল বক্তব্য দেয়া কালে সভাস্থল অনেকটা খালি থাকলেও তার দাবী কর্মীরা তখন নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলো। অথচ, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাদল তার জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখছিলেন মঞ্চের মাইক ‘ফাঁটিয়ে’।

 

কর্মী সভায় প্রত্যাশাতুল্য কর্মী না থাকার বিষয়টি উপস্থিত সকলে নিজ চোখে দর্শন করলেও সংবাদ আকারে প্রকাশ পাওয়ায় সমালোচনা ঢাকতে শামীম অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল এখন বিভিন্ন কর্মী সভায় ওই প্রতিবেদন নিয়ে নিজেই গলা ফাটাচ্ছেন। এতে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে আরো বেশি সমালোচনার পাত্র হচ্ছেন জুয়েল হোসেন। এ যেন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে জুয়েলের গলা ফাটানো মিথ্যাচার !