শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

চাহিদা বাড়ায় শিক্ষাসামগ্রীর দাম বাড়তি

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার

করোনায় দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৫৪৪ দিন পুরো শিক্ষাপঞ্জি স্তব্ধ হয়েছিল। অবশেষে সকল জটলা কাটিয়ে রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হতে হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থী ওঅভিভাবকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এদিকে স্কুল-কলেজ খোলার পর থেকে বদলে গেছে দৃশ্যপট।

 

বর্তমানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্টেশনারি, লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রীর দোকানে ভিড় করছেন। কিনছেন কাগজ-কলম, পেন্সিল, বই, জ্যামিতি বক্সসহ বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী। তাই হাসি ফুটেছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের মুখে। কিন্তু এই বন্ধে শিক্ষাসামগ্রীর চাহিদা কমে গিয়েছিল অনেকটা। এখন বিক্রি বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন সামগ্রীর দামও বেড়েছে। এতে করে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 


সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ নগরীর খাজা সুপার মার্কেট, কলেজ রোড শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনের লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী কেনা কাটায় ভীড় করছে। শহরের খাজা সুপার মার্কেটের এক দোকানদার বলেন, করোনাকালীন সময়ে বেচা কেনা কমে গিয়েছিল। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তের পর বিক্রি বেড়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কাগজ-কলম, বই, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্সসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী কিনতে আসছেন। অনেক দিন পর ব্যবসা জমে উঠেছে বলে জানান তিনি। নগরীর চাষাঢ়ায় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাসামগ্রী কিনতে এসেছেন অভিভাবক আবু বক্কর। তিনি জানান, তার মেয়ে মাওয়া জান্নাত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। অনেক দিন পর মেয়ের স্কুল খুলেছে, তাই নতুন কাগজ, এক ডজন কলম ও এক সেট রঙ পেন্সিল কিনেছি। কিন্তু এসকল জিনিস ক্রয় করতে এসে দেখি আগে যে দামে কিনেছি এখন তার চেয়ে বেশি দাম রাখছে।

 


পারভেজ আহমেদ নামে ব্যক্তি বলেন, আমার ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। নতুন খাতা ও টিফিন বক্স ছাড়া স্কুলে যেতে চাইছে না। তাই এসব সামগ্রী কিনতে এসেছি। দীর্ঘদিন পর বাচ্চারা স্কুলে যাবে এটি আমাদের জন্য স্বস্তির। এদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শিক্ষাসামগ্রীর দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষাসামগ্রীর বাজার মনিটরিং করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

 


শিক্ষাবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী হারিয়ে যায়। সেই সাথে তাদের বিভিন্ন সামগ্রী কম প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স, ক্যাল কুলেটর প্রয়োজন হওয়া অভিভাবকরা লাইব্রেরী, স্টেশনারী দোকান গুলোতে ভীড় করছেন। সেই সাথে জিনিস পত্রে চাহিদা বারা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম ক্রেতাদের থেকে বেশি দাম রাখছে বলে অভিযোগ করেন। একই সাথে এই সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।