মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১   ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা আ’লীগের সভাপতি আবদুল হাই

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:৪২ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবদুল হাই। এক শুভেচ্ছা বার্তায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সভাপতি মো. আবদুল হাই বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। 

 

সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুরশক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়ে থাকে। আবহমানকাল ধরে এ দেশের বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। এ উৎসব সর্বজনীন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য নারায়ণগঞ্জ জেলা। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। 

 

আবদুল হাই আরো বলেন, দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও সুসংহত হোক-এ কামনা করি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ আমাদের সকলের। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত  প্রষ্টোয় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলে সক্ষম হব। 

 

তিনি বলেন, দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। জীবের দুর্গতি নাশ করেন বলে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে হিন্দুদের নিকট দেবীদুর্গা পূজনীয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি দেশের মানুষের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শারদীয় দুর্গোৎসব সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের বন্ধনকে আরো সংহত করবে- এটাই আমার প্রত্যাশা।