বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থির ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে অন্তত ১০ রকম নিত্যপণ্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। এই পণ্যে হলো-চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, এলাচ, শুকনা মরিচ, আদা। এরমধ্যে চালের দাম পূর্বের নির্ধারিত চড়া মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। আটা, ময়দার কেজিতে বেড়েছে দশ টাকা। আর ভোজ্যতেল লিটারে পঞ্চাশ টাকা বেড়েই রয়েছে।

 

অন্যদিকে আর্শ্চয্যজনক ভাবে বেড়েছে চিনির মূল্য। একমাস পূর্বে যে চিনি ষাট থেকে পয়ষট্রি টাকা কেজি পাওয়া যেতে। এখন ওই চিনি কিনতে হচ্ছে আশি থেকে পঁচাশি টাকা কেজি। এরমধ্য হঠাৎ করেই পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। যে পেঁয়াজ চল্লিশ থেকে পাঁচল্লিশ টাকা ছিল। ওই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে সত্তর থেকে পঁচাত্তর টাকা কেজি।

 

এছাড়া মাছ মাংসের বাজারেও চলছে অস্থিরতা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়িরা বলছেন মোকামে জিনিসপত্রের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। নিতাইগঞ্জের এক জন চাল ব্যবসায়ি জানান, মোকামে যে পর্যন্ত চালের মূল্য না কমবে ওই পর্যন্ত খুচরা বাজারেও কমবে না। নতুন চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত আর চালের মূল্য কমার সাম্ভভনা নেই।

 

ব্যবসায়িরা বলেন, গত ছয় মাসে চালের মূল্য কেজিতে বেড়েছে বিশ টাকা। কয়েক দিন পূর্বেও প্যাকেট জাত আটা বিক্রি হয়েছে পয়ত্রিশ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে ওই আটা বিক্রি হচ্ছে চল্শি থেকে পাঁচল্লিশ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ি গত এক মাসে প্যাকেট আটার মূল্য বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।


এদিকে সয়াবিন তেলের মূল্য বেড়েছে লিটারে পঞ্চাশ টাকারও বেশী। এই দাম কয়েক ধাপে বেড়েছে। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্যও বেড়েছে অস্বাভাবি হারে। আবার পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। আমদানি পোঁজের দামও বাড়ছে। হঠাৎ করেই পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে বিশ টাকা।

 

পাশাপাশি কাঁচামরিচের দামও বেড়েছে কেজিতে একশত থেকে একশত বিশ টাকা। গত সপ্তায় যে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। গতকাল ওই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হতে দেখাগেছে।


শুকনো মরিচের দমও বাড়ছে দুইশত টাকা কেজির শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে দুশত ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা। এছাড়া এলাচ আদা’র দাম অস্থির। সবজির বাজারও অস্থিও শসা, বেগুন, পেঁপে, গাজর, শিম, করলা, উস্তা টমেটো বাজারে ভরপুর। কিন্ত মূল্য বেশ চড়া। শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখনই পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ছোট সাইজের ফুলকপি পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা। একই ভাবে বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে।



ভুক্তভোগীদের দাবি একটি পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না। এভাবে একের পর এক পণ্যের মূল্য বাড়লে বাঁচা দায় হয়ে পড়বে। নিত্যমূল্যের চড়া দামে দিশে হারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তারা জানান, নিত্যমূল্যে দাম বাড়লে মানুষের জীবনমানের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। অনেক সময় মানুষকে সঞ্চয় ভেঙে জীবন চালাতে হয়।